তবে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন মনে করেন তারা যখন ক্রিকেট খেলেছেন তখন বড়জোর দুজন ফাস্ট বোলার হাতে থাকত ভারতের। এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে চিত্রটা। একাধিক ফাস্ট বোলার উঠে এসেছে শেষ কয়েক বছরে। শামি, বুমরাহ, সিরাজ, উমেশ, ভুবনেশ্বর, দীপক চাহার, নবদীপ সাইনি এমন ছয় থেকে সাতজন কোয়ালিটি জোরে বোলার রয়েছে ভারতের হাতে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং উমরান মালিককে তৈরি করা হচ্ছে।
advertisement
সচিন মনে করেন যেভাবে ভারতীয় ফাস্ট বোলাররা দক্ষিণ আফ্রিকায় দাপট দেখালেন, সেটা প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে গর্ব করার মত। ভারতের এই বোলিং লাইন আপ বিশ্বের যে কোন মাঠে কুড়িটা উইকেট তোলার ক্ষমতা রাখে। গতি, সুইং, বাউন্স - সব রয়েছে এই জোরে বোলারদের হাতে। তরুণ ফাস্ট বোলার সিরাজ যেভাবে দ্রুত উন্নতি করেছেন তাতে মুগ্ধ সচিন। আগ্রাসী মানসিকতা এবং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমান পরিশ্রম করার ক্ষমতা সিরাজের ইউএসপি মনে করেন মাস্টার ব্লাস্টার।
স্বয়ং বহু সময় কাটিয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ানস দলে বুমরাহর সঙ্গে। কাজেই তার শক্তি সম্পর্কে অবগত তিনি। শামি যেভাবে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছেন সেটা দেখে উচ্ছ্বসিত সচিন। শামির সিম পজিশন সব সময় সোজা থাকে। সচিন মনে করেন এমন জায়গায় শামি বল রাখেন, যেটা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ছেড়ে দেওয়া খুব কঠিন। বাধ্য করেন ড্রাইভ করার জন্য। এমন কোয়ালিটি খুব বড় মাপের বোলার ছাড়া থাকা সম্ভব নয়।
এছাড়াও উমেশ যাদব বরাবর প্রচন্ড গতিশীল হলেও নিয়ন্ত্রণ ছিল না বলে। কিন্তু শেষ কয়েকটা ম্যাচে তিনি প্রমাণ করেছেন নিজেকে। লাইন লেন্থ সঠিক রাখার ক্ষেত্রে উমেশ এখন অনেক পরিণত। সচিন বলছেন এটা দেখেই ভাল লাগছে অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি কত ভরসা পান তার ফাস্ট বোলারদের থেকে। ভারতীয় ক্রিকেটের এই রদবদল সত্যিই প্রশংসনীয় বলছেন সচিন।
পাশাপাশি সচিনের মাঝে মাঝে মনে হয় তাদের সময় যদি ভারতীয় দলের হাতে এমন পেস আক্রমণ থাকত, আরও বেশি টেস্ট ম্যাচ জিততে পারত দল। ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপক্ষ দলের আগুনে পেসারদের সামলেছেন। কিন্তু দলের অধিনায়ক অথবা সিনিয়র হিসেবে নিজের দলের ফাস্ট বোলাররা বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ওপর দাপট দেখাচ্ছে, এমনটা দেখার সৌভাগ্য খুব বেশি হয়নি সচিনের।