সচিন জানিয়েছেন, এর দুটি প্রধান কারণ ছিল। প্রথমত, বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশন অফ-স্পিনারদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারত। দ্বিতীয়ত, ধোনি আগে তিন বছর চেন্নাই সুপার কিংসে মুরলিধরনের সঙ্গে খেলেছেন ও অনুশীলন করেছেন। ফলে মুরলির বল বুঝতে তাঁর অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এই সিদ্ধান্তই ধোনির ব্যাটে ভারতের জন্য ইতিহাস গড়ার মঞ্চ তৈরি করে দেয়।
advertisement
ম্যাচের সময় ভারত ১১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে চাপে পড়ে গিয়েছিল। বিরাট কোহলি ৩৫ রানে আউট হওয়ার পর ধোনিকে নামানো হয়, যিনি গম্ভীরের সঙ্গে ১০৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ধোনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৯১ রান করেন মাত্র ৭৯ বলে, মারেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কা। তাঁর অসাধারণ ইনিংস এবং শান্ত মাথার নেতৃত্ব ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুনঃ বলুন তো দেখি, ভারতের কোথায় রয়েছে চাঁদের দেশ? উত্তর অজানা ৯৯ শতাংশের
এই জয় ভারতের ২৮ বছর পর ভারতের দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নপূরণ হয়। একইসঙ্গে সচিন তেন্ডুলকরেরও স্বপ্নপূরণ হয়। বিশ্বকাপের সেই দিনটি আজও কোটি কোটি ভারতীয়ের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে — কৌশল, অভিজ্ঞতা ও নির্ভরতার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে।