যদিও অ্যাব্রামোভিচ নিজে তা স্বীকার করেননি। রবিবার লিভারপুলের বিরুদ্ধে কারাবায়ো কাপ ফাইনালে খেলতে নামার আগেই এই খবর পেল ইংল্যান্ডের ক্লাবটি। তবে অ্যাব্রামোভিচ ক্লাব বিক্রি করে দেবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। শনিবার রাতে দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানান অ্যাব্রামোভিচ। তিনি বলেন, গত ২০ বছর ধরে নিজেকে ক্লাবের অভিভাবক হিসেবে দেখেছি। আমার কাজ ছিল দল কী করে সাফল্য পাবে, তা দেখা। সেই সঙ্গে ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।
advertisement
ইতিবাচক ভাবে খেলতে চেয়েছি আমরা। আমি সব সময় ক্লাবের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্লাবের মান রাখা আমার কর্তব্য। সেই জন্য আজ আমি চেলসি চ্যরিটেবল ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টিদের হাতে ক্লাবের দায়িত্ব তুলে দিচ্ছি। ২০০৩ সাল থেকে চেলসির মালিক অ্যাব্রামোভিচ। ক্লাব বিক্রি করার কথা বলেননি তিনি। ব্রিটেনে থাকা রুশ ক্ষমতাবানদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। অ্যাব্রামোভিচ যদিও সেই তালিকায় নেই। তবে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হলে চেলসির দায়িত্ব অন্য কারও হাতে দিতে পারতেন না তিনি।
তবে আইনজীবীদের ধারণা অ্যাব্রামোভিচের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হলেও তার মধ্যে চেলসি ক্লাবকে ধরা হত না দলের ঐতিহ্যের কথা ভেবে। আব্রামোভিচের কন্যা সোফিয়া নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। জানিয়েছেন ক্রেমলিনের সবচেয়ে বড় মিথ্যা হচ্ছে মানুষকে বার্তা দেওয়া যে রাশিয়ার সাধারণ মানুষ প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাশে আছেন।
ইউক্রেন সমস্যা অন্যভাবে মেটানোর পক্ষেও মত দিয়েছেন আব্রামোভিচের কন্যা। কিন্তু আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড ও বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই মুহূর্তে পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। ফলে ইংল্যান্ডের মাটিতে রুশ ব্যবসায়ী সংস্থার আপাতত পাততাড়ি গুটানোর সময় হয়েছে। তারই অন্যতম পদক্ষেপ আব্রামোভিচের চেলসির দায়িত্ব ছাড়া।