রোহিত ও কোহলি ইতোমধ্যেই টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাবেন। যার মূল লক্ষ্য হবে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ। তবে তাদের বয়স, ফর্ম ও ম্যাচ ফিটনেসই ঠিক করবে যে দল তাদের এই ফরম্যাটে রাখতে চায় কিনা। পিটিআই–এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য এখনও প্রায় দুই বছর সময় রয়েছে। এর মধ্যে বিসিসিআই তরুণদের সুযোগ দিতে চায়, নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোতে চায় যাতে করে ২০১১ সালের পর আবার একবার ট্রফি জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
advertisement
রোহিত এখন ৩৮ এবং কোহলি ৩৬ বছর বয়সী। তাদের ফের মাঠে দেখা যেতে পারে অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে। এরপর নভেম্বর-ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে। ২০২৬-এ জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে আরও ছয়টি ওয়ানডে ম্যাচ রয়েছে। কিন্তু এই ম্যাচসংখ্যা কি যথেষ্ট হবে তাদের তাদের ফর্ম ধরে রাখার জন্য ও শারীরিকভাবে ফিট রাখার জন্য, বিশেষ করে বিশ্বকাপ পর্যন্ত?
একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, “হ্যাঁ, এটা খুব শিগগিরই আলোচনার বিষয় হবে। এখনো বিশ্বকাপ শুরু হতে দুই বছরের বেশি সময় আছে (নভেম্বর ২০২৭)। তখন রোহিত ৪০ এবং কোহলি ৩৮ বছর পেরিয়ে যাবেন। তাই, বড় ইভেন্টের জন্য একটি পরিষ্কার পরিকল্পনা থাকা দরকার, কারণ আমাদের শেষ বিশ্বকাপ জয় ২০১১ সালে হয়েছিল। আমরা কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়কেও সময় থাকতে থাকতেই পরখ করে দেখতে চাই।”
তবে, রোহিত ও কোহলিকে ওয়ানডে থেকে জোর করে বাদ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্রিকেটের সবথেকে ছোট ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে। টেস্ট থেকেও তারা সম্প্রতি অবসর ঘোষণা করেছেন। সূত্র বলেছে, “দেখুন, কোহলি ও রোহিত ভারতীয় দল এবং সাদা বলের ক্রিকেটে বিশাল অবদান রেখেছেন। তাঁরা প্রায় সবকিছুই অর্জন করেছেন। তাই, তাঁদের কেউ জোর করে কিছু করাবে না। তবে, পরবর্তী ওয়ানডে চক্র শুরুর আগে তাদের মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি কোথায় আছে — সেটা নিয়ে পেশাদার ও খোলামেলা আলোচনা হবে। সবকিছুই নির্ভর করবে তাঁদের অবস্থানের ওপর।”
প্রসঙ্গত, শেষবার রোহিত ও কোহলি ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৫ সালের মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। তারপর থেকে তাঁরা কেবল আইপিএল খেলেছেন। এখন যেহেতু তাঁরা কেবল একটি ফরম্যাট খেলছেন, তাই নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ অনেক কমে যাচ্ছে। এই কারণে কি রোহিত ও কোহলি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে দেখা যাবে? বিসিসিআই–এর নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলেন, তবে তাঁকে ঘরোয়া দলে খেলতে হবে।
তবে মজার বিষয় হলো, ঘরোয়া সাদা বলের টুর্নামেন্টগুলো শুরু হয় শুধুমাত্র নভেম্বর মাসে — প্রথমে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি (টি-টোয়েন্টি) এবং তারপর ডিসেম্বরে বিজয় হাজারে ট্রফি (ওয়ানডে)। ফলে ভারতীয় দলের শিডিইল অনুযায়ী সেখানে দুই তারকার খেলার সম্ভাবনা কম। ফলে রোহিত-কোহলির মত তারকাকে ২০২৭ বিশ্বকাপে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। উত্তর লুকিয়ে ভবিষ্যতের গর্ভে।