আরও পড়ুন - হকি স্টিক অতিরিক্ত তিন ইঞ্চি লম্বা কেন? বিমানবন্দরে হেনস্তা কিংবদন্তি শ্রীজেশকে
শেষ ম্যাচটা জিতে নিজের সাম্রাজ্যকে বিদায় জানাতে পারেননি ২০ বারের গ্র্যান্ডস্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন ফেডেরার। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর টিম ওয়ার্ল্ডের ফ্রান্সেস টিয়াফো এবং জ্যাক সকের বিরুদ্ধে ৪-৬, ৭-৬ (৭/২), ১১-৯ ব্যবধানে হেরে যান ‘ফেডাল’(ফেডেরার এবং নাদালকে একত্রে বলা হয়)।
advertisement
কিন্তু আজ তার হার বা জয় বড় ব্যাপার ছিল না। আজ ছিল টেনিস ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে হৃদয় উজাড় করে ভালোবাসা জানানোর দিন। টেনিসের ভদ্রলোককে আলবিদা বলার মঞ্চ। বিখ্যাত ওয়ান-হ্যান্ডেড ব্যাকহ্যান্ড, অবিশ্বাস্য জায়গা থেকে সব শট না থাকলে টেনিসটা হয়ত শিল্প হত না, এত সুন্দর হত না দুনিয়া।
আর ধন্যবাদ 'ফেডাল'-কে। আরও একবার ঠিক প্রমাণ করার জন্য যে ‘ফেডেরার’ না থাকলে ‘নাদাল’ হতেন না, ‘নাদাল’ না থাকলে ‘ফেডেরার’ হতেন না। হয়ত দু'জনের আলাদা যুগের হলে ফেডেরার এবং নাদালের গ্র্যান্ডস্ল্যামের সংখ্যাটা বেশি হত। ম্যাচ শেষে পুরো স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়িয়ে যখন হাততালি দিচ্ছে, তখন রজার ফেদেরার হাতটা বুকের বাঁদিকে চেপে সেই অভিবাদন গ্রহণ করলেন।
আর কোনওদিন টেনিস কোর্টে দেখা যাবে না রাজা রজারের অনায়াস বিচরণ। থামতেই হল। সময় বড় সাংঘাতিক। রড লেভার, বিয়ন বর্গ, জন ম্যাকেনরো, আগাসি, বেকার, সম্প্রস - পুরুষ টেনিসে বহু মহানায়ক এসেছেন, গিয়েছেন। এখনকার নোভাক জোকোভিচ, অ্যান্ডি মারে, আলকারাজ, সিৎসিপাসরা হয়তো টেনিস বিশ্ব শাসন করবেন আরো কয়েকটা বছর। কিন্তু রজার ফেদেরার একজনই। এ স্বাদের ভাগ হবে না।