তার আগে কেপটাউন টেস্টে শতরান। কিন্তু আবার তৃতীয় একদিনের ম্যাচে সম্পূর্ণ ব্যর্থ তিনি। যেখানে একটু ধৈর্য দেখানোর প্রয়োজন ছিল, সেখানে এসেই প্রথম বলেই চালাতে গেলেন। ফিরে যেতে হল খাতা না খুলেই। উল্টোদিকে বিরাট কোহলির মুখেও আউট হওয়ার ধরন দেখে বিরক্তি ছিল স্পষ্ট। গৌতম গম্ভীর অবশ্য মনে করেন এই নিয়ে আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।
advertisement
ঋষভ পন্থ এভাবেই খেলে। হয়তো কোচ এবং অধিনায়কের কথায় কিছুটা ধৈর্য দেখাতে পারে। কিন্তু নিজের ভেতরের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। গম্ভীর পরিষ্কার জানিয়েছেন এটা মেনে নিয়েই পন্থকে দলে রাখতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। না হলে অন্য রাস্তা দেখতে হতে পারে। কিন্তু তিনি নিশ্চিত এতদিনেও যখন নিজের খেলা পাল্টাতে পারেনি পন্থ, আগামীদিনেও পারবেন না।
তবে এই ধরনের ক্রিকেটার যেমন আউট হবেন, তেমনই একার হাতে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে পারবেন। ঋষভ পন্থ বিরাট কোহলি নন, যিনি উইকেটে পড়ে থেকে লম্বা ইনিংস খেলতে পারেন। লুজ বল পেলেই হাত নিশপিশ করে বড় শট খেলার জন্য। তবে যেহেতু দলের কোচ এখন রাহুল দ্রাবিড়, তাই ঋষভকে বুঝিয়ে তিনি মনোভাব পাল্টাতে পারেন মনে করেন গম্ভীর।
ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চে ঈশান কিষান থাকলেও পন্থ ম্যাচ উইনার হিসেবে এগিয়ে। তবে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং পরের বছর একদিনের বিশ্বকাপের আগে ঈশানকেও দেখে নেওয়া উচিত ভারতের স্পষ্ট জানাচ্ছেন গম্ভীর। তবে তিনি হতাশ মিডল অর্ডারে শ্রেয়স আইয়ার (২৬) এবং সূর্য কুমার যাদব (৩৯) সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায়।
দুজনের অন্তত একজনকে এই জায়গা থেকে ম্যাচ ফিনিশ করতে হত। তবেই দলের ভরসা অর্জন করতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ হারিয়েছেন দুজনেই। ভবিষ্যতে হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজা ফিট হয়ে গেলে সূর্য, শ্রেয়স জায়গা হারাতে পারেন মনে করেন গম্ভীর।