এর পেছনে বেশিরভাগ প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বিশেষজ্ঞরা দুষছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটকে। তাদের মতে, আইপিএল খেলার ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার আগেই বিশ্বকাপে নামতে হয়েছে কোহলি-রোহিতদের। যার বলে বিশ্ব আসরে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারেনি ভারত। তাই আইপিএলের খোলাখুলি সমালোচনাই করেছেন সবাই।
advertisement
তবে এসব সমালোচনাকে কানে তুলতে রাজি নন বিশ্বকাপে ভারতের কোচের দায়িত্ব পালন করা রবি শাস্ত্রি। তিনি মনে করেন, ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থের জন্যই আইপিএলকে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। কেননা বর্তমানে ক্রিকেটের জন্য একপ্রকার দুধেল গাই আইপিএল। একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রি বলেছেন, আমি মনে করি আইপিএল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ কী ভাবল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আপনার অন্য ফরম্যাটের ক্রিকেট বাঁচিয়ে রাখার জন্য আইপিএল হল দুধেল গাই।
আপনাকে এটিকে বাঁচিয়ে রেখেই অর্থ উপার্জন করতে হবে। সেই উপার্জিত অর্থ খরচের দারুণ উপায়ও বাতলে দিয়েছেন ভারতের বিদায়ী কোচ, আইপিএল থেকে পাওয়া অর্থ খেলাটির বিভিন্ন ফরম্যাটে, তৃণমূল পর্যায়ে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ছড়িয়ে দিন। যাতে ক্রিকেট খেলাটি বেঁচে থাকে। এসময় ভারতীয় দলের ক্লান্তির কথা স্বীকার করে নেন শাস্ত্রিও। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে দীর্ঘদিন ধরে খেলার ধকল কাটাতে দলের সবার বিশ্রাম প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
কারণ ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররাও মানুষ। শাস্ত্রি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে কঠিন সময় এই কোভিড পরিস্থিতি। আমার মনে হয় না, ভারতীয় দলের মতো অন্য কেউ এত বেশি সময় বাইরে বাইরে থেকে খেলতে পারবে। সবারই বিশ্রাম প্রয়োজন। শুধু বিরাট নয়, সবারই বিশ্রাম নেওয়া উচিত। কারণ তারাও মানুষ।
কিন্তু ক্রিকেট ক্যালেন্ডার সঠিকভাবে সাজানো জরুরি। কিন্তু তাই বলে আইপিএল বন্ধ করার প্রশ্নই নেই। ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতি আইপিএল ছাড়া এতটা সম্ভব হত না। আর্থিক কারণ ছাড়াও, তরুণ ক্রিকেটারদের তুলে আনার ক্ষেত্রে আইপিএলের জুড়ি নেই মনে করেন রবি। ভারতীয় দল সফল হলে তখন আইপিএলের জয়জয়কার হত। ব্যর্থ হয়েছে বলেই প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের দাপট আর্থিক কারণের জন্য অনেকটাই বেড়েছে। তার সঙ্গে পারফরম্যান্স আছে। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ ভারতীয় ক্রিকেটের অক্সিজেন, মেনে নিয়েছেন রবি শাস্ত্রী।