গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারত অলরাউন্ডারদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা তৈরি করেছে, যা শাস্ত্রীর মতে টেস্ট ক্রিকেটের মৌলিক গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। নীতিশ কুমার রেড্ডি ও হর্ষিত রানা’র মতো অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব বাড়লেও সরফরাজ খানের মতো বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন। এই পরিবর্তিত কৌশল ভারতের ব্যাটিংয়ের স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে শাস্ত্রীর মত।
advertisement
সিরিজের প্রথম টেস্টেই ভারত তিনজন স্পিন অলরাউন্ডারকে মাঠে নামায়। আরও অবাক করা সিদ্ধান্ত ছিল ওয়াশিংটন সুন্দরকে তিন নম্বরে ব্যাট করানো, যেখানে সাধারণত বিশেষজ্ঞ ব্যাটারদের দায়িত্ব থাকে। সাই সুদর্শনকে বাদ দিয়ে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত ম্যাচে ৩০ রানে হারের পর তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।
দ্বিতীয় টেস্টে কিছু পরিবর্তন এলেও কৌশলে বড় কোনও বদল দেখা যায়নি। আহত শুভমন গিলের জায়গায় সুদর্শন ফিরলেও নিচের ক্রমে অলরাউন্ডার-নির্ভরতা বজায় রাখা হয়। নীতিশ রেড্ডি জায়গা নেন অক্ষর প্যাটেলের বদলে। ফলে ব্যাটিং অর্ডার আবারও অস্থির হয়ে পড়ে এবং সুন্দরকে নামিয়ে দেওয়া হয় আট নম্বরে, যা শাস্ত্রীর মতে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে শাস্ত্রী বলেন, “ওয়াশিংটন সুন্দর আট নম্বরের ব্যাটার নয়। তাকে আগের ম্যাচে তিন নম্বরে খেলানো হলে এখানে চার নম্বরে খেলানো যেত।” তিনি মনে করেন, বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের জায়গায় অলরাউন্ডার খেলানো ভারতকে বারবার চাপে ফেলছে এবং সিরিজের গতিপথ বদলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ Vaibhav Suryavanshi: একাই ২২টি ছক্কা! বড় রেকর্ড গড়লেন বৈভব সূর্যবংশী, স্থির আগামী টার্গেট
গম্ভীরের কৌশল শাস্ত্রী ও রাহুল দ্রাবিড়ের আগ্রাসী ও ভারসাম্যপূর্ণ টেস্ট কৌশলের সম্পূর্ণ বিপরীত। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ও বিশেষজ্ঞ বোলারের ওপর ভরসা করা দুই কোচের ধারার পরিবর্তে বর্তমান দলটি অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত। ফলস্বরূপ ভারত এখন গম্ভীরের অধীনে প্রথমবারের মতো ২ ম্যাচের হোম সিরিজে হোয়াইটওয়াশের মুখে।
