বাংলার ক্রিকেট ম্যাচের আপডেট সব সময় রাখেন সৌরভ। বুধবারও লক্ষ্মীকে ফোন করে ম্যাচের উইকেট এবং ম্যাচ সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর নেন। কিছু মূল্যবান পরামর্শ দেন বলে খবর। আসলে ৩২ বছর আগে রঞ্জি ট্রফি শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। সেই দলের সদস্য ছিলেন সৌরভ।
advertisement
দাদা স্নেহাশিসের জায়গায় ১৯৮৯-৯০ সালের ফাইনালে খেলেছিলেন সৌরভ। তারপর থেকে একাধিকবার চেষ্টা করেও বাংলার রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। বেশ কয়েকবার রানার্স হয়েছে ঠিকই, কিন্তু চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ঘরে তুলতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলার দল। সিএবি সভাপতি এবং সচিব থাকার সময়ও সৌরভ বারবার চাইতেন বাংলা যেন রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা এবং পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করেন।
ভিশন টোয়েন্টি-টোয়েন্টির মতো প্রজেক্ট চালু থেকে শুরু করে প্রজ্ঞান ওঝার মত ক্রিকেটারকে বাংলায় খেলার জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও সাফল্য আসে নি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই সভাপতি থাকাকালীন ২০১৯-২০ মরশুমে রঞ্জি ফাইনালে রানার্স হয় বাংলা। তারপর গত বছর সেমিফাইনালে বিদায়। ঐতিহ্যশালী এই টুর্নামেন্টে বেশ কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক বাংলা দল। প্রাক্তন থেকে বর্তমান ক্রিকেটার থেকে কর্তা প্রত্যেকেই চান বাংলা যেন ট্রফি জিততে পারে এই বছর। বাংলা ক্রিকেট নিয়ে প্রতিমুহূর্তে খবর রাখেন সৌরভ। খেলার স্কোর মোবাইলে প্রতিমুহূর্তে দেখতে থাকেন দাদা। বর্তমানে সিএবি বা ক্রিকেট প্রশাসকের না থেকেও বাংলা ক্রিকেটের সঙ্গে রয়েছেন সৌরভ। তাই অভিভাবকের মতোই বাংলা দলকে প্রয়োজনমতো গাইড করেন দাদা। মধ্যপ্রদেশ ম্যাচে বাংলা শিবিরে সৌরভের ফোন তাই ব্যতিক্রমী কোনও ঘটনা নয়। ভারতীয় ক্রিকেটের সুপারস্টারের ফোন পেয়ে আরও চাঙ্গা বাংলার ক্রিকেটাররা।