আবার আরেক ক্রিকেটার বলছেন, কিছুই বলার নেই আমরা প্রথম দিন ৩০ মিনিটেই ম্যাচ হেরে গিয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম টস জিতে বোলিং করব। কিন্তু টস হারলে কি হত হয়তো আমাদের প্ল্যানে ছিল না। আরও একটা ঘরোয়া মরসুম কেটে গেল। বাংলা ক্রিকেটের ফের সঙ্গী হল ব্যর্থতা। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নকআউট বিজয় হাজারেতে গ্রুপ পর্ব আর রঞ্জিতে রানার্স।
advertisement
আরও পড়ুন - ব্যর্থতা সত্ত্বেও বাকি দুটি টেস্ট খেলবেন রাহুল, একদিনের দলে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন উনাদকাট
মুম্বইয়ের পর দিল্লির সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বাধিক ১৫ বার রঞ্জি ফাইনাল খেলেও ৩২ বছরের ট্রফি খরা কাটাতে পারল না বাংলা। ফাইনালে ফের কেঁপে গেল বাংলা ক্রিকেট দল। ফাইনালের প্রত্যেকদিন প্রত্যেকটা সেশনে বাংলার থেকে এগিয়েছিল সৌরাষ্ট্র দল। একবারের জন্য ম্যাচে প্রাধান্য দেখাতে পারিনি বাংলা। ক্লাব ক্রিকেটে কোনদিন ওপেনিং না করা ৩২ বছরের সুমন্ত গুপ্তকে কোন যুক্তিতে ফাইনালে ওপেনিং করাল বাংলা দল। ক্লাব ক্রিকেটে বড়িশা দলের হয়ে খেলা সুমন্ত অধিনায়কের নাকি পছন্দের পাত্র। অধিনায়ক মনোজ নাকি চেয়েছিলেন সুমন্তকে ফাইনালে খেলাতে।
আরও পড়ুন - মুম্বইকে হারিয়ে দিয়ে চমক ইস্টবেঙ্গলের, ডার্বির আগে মশাল জ্বলে উঠল আরব সাগরের ধারে
কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা অধিনায়কের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন কারণ প্রদীপ্ত প্রামাণিকের পরিবর্তে আকাশ ঘটককে তিনি ফাইনালে খেলাতে চেয়েছিলেন চতুর্থ পেসার হিসেবে। তবে ফাইনাল দেখতে আসা বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রকাশ্যেই বলে দিচ্ছেন, বাংলা দল আসলে নয় জন নিয়ে খেলতে নেমেছিল। এমনকি আকাশ, সুমন্তর ফাইনালে প্রথম একাদশে খেলানো নিয়ে নির্বাচক কমিটির সঙ্গে মতপার্থক্য হয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্টের।
নির্বাচক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কৌশিক ঘোষকে ফাইনালে খেলানো হোক। কিন্তু কোচ এবং অধিনায়ক কেউই রাজি হননি। দলের সঙ্গে থাকা কাজীকেও খেলানোর পক্ষে ছিল না কেউই। করণলালকে খেলানোর ইস্যুতে কোচ কিছুটা রাজি থাকলেও অধিনায়ক নাকি রাজি ছিলেন না। তাই শেষ পর্যন্ত সুমন্ত গুপ্তকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় নাকি আকাশ ঘটকের পরিবর্তে সেমিফাইনাল ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া প্রদীপ্ত প্রামানিককে খেলানোর পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের টিম ম্যানেজমেন্ট রাজি হয়নি। এমনকি সিএবি কর্তারা অনেকে উইকেটে ঘাস রাখতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট সবুজ উইকেট চেয়েছিল। সিএবির এক কর্তা জানান, আমরা সৌরাষ্ট্রের শক্তি অনুযায়ী পিচ তৈরি করেছিলাম। তাই যা হওয়ার হয়েছে। অন্যদিকে আবার রঞ্জি ফাইনাল ঘিরে সিএবির যে আয়োজন তা প্রথম থেকেই বাংলা টিম ম্যানেজমেন্ট ভালোভাবে নেয়নি। ট্রফি জয়ের আগে থেকেই এত আলো ফুলের সজ্জা সঠিক ছিল না বলে মনে করেন টিম ম্যানেজমেন্টের লোকজন। সব মিলিয়ে রঞ্জি ফাইনাল হারার পরেই প্রকাশ্য ড্রেসিংরুমের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
ERON ROY BURMAN