তবে যাবতীয় দুশ্চিন্তা থাকছে ওপেনিং জুটি নিয়ে। চলতি রঞ্জি মরশুমে এখনও পর্যন্ত ওপেনিং জুটি ক্লিক করেনি। অভিমুন্য ঈশ্বরন ধারাবাহিকভাবে সফল হলেও পার্টনার হিসেবে ওপেনিংয়ে প্রত্যেকেই ব্যর্থ হয়েছেন। কৌশিক ঘোষ, অভিষেক দাস, করণলাল কিংবা কাজী প্রত্যেককেই ঈশ্বরনের পার্টনার হিসেবে ওপেন করে ব্যর্থ হয়েছেন। সেমিফাইনাল ম্যাচে করণ সুযোগ পেলেও ২ ইনিংসেই সেট হয়ে আউট হয়েছে। তাই ফাইনালে সবুজ পিচে করুণের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। ফলে ওপেনিং পার্টনারশিপে ফের পরিবর্তনের সম্ভাবনা।
advertisement
আর সেখানেই চমক দেখাতে পারে বাংলা টিম ম্যানেজমেন্ট। ফাইনালে অভিষেক হতে পারে ব্যাটার সুমন্ত গুপ্তর। দলের সঙ্গে প্রথম থেকে থাকলেও এখনও রঞ্জি অভিষেক হয়নি এই ক্রিকেটারের। সাদা বলে বাংলা দলের হয়ে খেললেও লাল বলে অভিষেকের অপেক্ষায় সুমন্ত। ক্লাব ক্রিকেটে বেশ কয়েক বছর ধরেই সফল বর্তমানে বড়িশা ক্লাবে খেলা এই ক্রিকেটার। ১৯৮-৯০ সালে যেবার বাংলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেই ফাইনালে অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিন বছর আগে এরকমই রঞ্জি ফাইনালে অভিষেক হয়েছিল সুদীপ ঘরামির। এবার সেরকমই অভিষেক হতে পারে সুমন্ত গুপ্তর। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও টিম সূত্রের খবর, সুমন্তকে ফাইনালের জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। অনুশীলনেও সুমন্তকে দীর্ঘক্ষণ দেখে নিয়েছেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বড় কোনও সিদ্ধান্তের পরিবর্তন না হলে সুমন্তর রঞ্জি ফাইনালে অভিষেক হবে।
এই দুই পরিবর্তন ছাড়া সেমিফাইনাল ম্যাচে দল অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেই খবর। ঈশান পোড়েলের আঙুলের চোট নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও তা অনেকটাই কেটে গেছে। এক্সরে করে কিছু পাওয়া যায়নি। ফোলাও অনেকটা কমেছে বলে খবর। আকাশদীপ, মুকেশের সঙ্গে ঈশানই বাংলার আক্রমণের মুখ হতে চলেছে। এক স্পিনার হিসেবে শাহাবাজ খেলবেন। তিন নম্বরে বাংলার অন্যতম ভরসা সুদীপ ঘরামীর হ্যামস্ট্রিং এ চোট থাকলেও তা নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই বলেই খবর। সব মিলিয়ে ফাইনাল ম্যাচের জন্য নিজেদের তৈরি করে ফেলেছে টিম বাংলা।