সব থেকে খুশি দর্শকরা। আইপিএলের ম্যাচ দেখতে এসে দর্শকরা চান শুধুই বিনোদন। আর এদিন ইডেনে ভরপুর বিনোদন দিলেন রজত পাতিদার। বুধবারের ম্যাচে প্রচুর চার ও ছক্কার দেখা পেয়েছেন ভক্তরা। বিনোদনের কোনও অভাব ছিল না এই ম্যাচে।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলারদের একটা সময় রজত পাতিদারের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল। আরও একজন আরসিবি ব্যাটারের নাম না বললেই নয়। তিনি দীনেশ কার্তিক। এদিন কার্তিকের ৩৭ রান আরসিবিকে ২০০ রানের গণ্ডি পেরোতে সাহায্য করেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন ক্ষুব্ধ ঋদ্ধিমান, আর কি খেলবেন না বাংলার হয়ে?
এই ম্যাচে লখনউয়ের তরুণ স্পিনার রবি বিষ্ণোইয়ের জন্যও খুব খারাপ ছিল। তিনি এক ওভারে ২৭ রান দেন। ওই ওভারে রজত পাতিদার যেন বুলডোজার চালাচ্ছিলেন। আর রবির অবস্থা হয়েছিল ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।
এই ম্যাচে রবি বিষ্ণোইয়ের ইকোনমি রেট অনেকটাই উপরের দিকে উঠে গেল। তিনি ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেন এবং মাত্র একটি উইকেট নেন। আরসিবির ইনিংসের ১৬তম ওভারে রবি বিষ্ণোইকে যেন টার্গেট করেছিলেন রজত।
ওই ওভারে ব্যাট করতে এসে রজত পতিদার মারেন ৩টি ছক্কা ও ২টি চার। ওই ওভারে রজত পাতিদার মোট মোট ২৭ রান করেন। রবি বিষ্ণোই স্লগ ওভারে রান আটকানোর জন্য পরিচিত। কিন্তু এদিন তাঁকেই টার্গেট করলেন রজত পাতিদার।
এই ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন রজত পতিদার। তিনি ৫৪ বলে অপরাজিত ১১২ রান করেন। এটি ছিল এই মরসুমের দ্রুততম সেঞ্চুরি। তাঁর এমন দুরন্ত ইনিংসের ভিত্তিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে।
আরও পড়ুন- বিয়ের পর আইপিএল ম্যাচ দেখতে ইডেনে সস্ত্রীক অরুণ লাল
আইপিএলে এটি রজত পতিদারের দ্বিতীয় সিজন। ২০১৫-১৬ রঞ্জি ট্রফিতে তাঁর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান খুবই ভাল।
আইপিএল ২০২২ শুরু হওয়ার আগে লখনউ সুপার জায়ান্টস রবি বিষ্ণোইকে দলে নেয়। মেগা নিলামের আগে লখনউ বিষ্ণোইকে ৪ কোটি টাকায় দলে নেয়। চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত খেলা ১৪ ম্যাচে ৮.৪৪ গড়ে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।