এই ফলে সমর্থকদের মতোই হতাশ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তিনি ক্ষুব্ধ, বিরক্তও। সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটল মঙ্গলবার মোহন বাগানের লাইব্রেরি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। খেদের সুরে ক্রীড়ামন্ত্রী বললেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকার কখনও কার্পণ্য করেনি। ক্রীড়াক্ষেত্রে বাজেট ৮০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৮০০ কোটি করা হয়েছে।
ছোট-বড় অধিকাংশ ক্লাবকে দেওয়া হচ্ছে অনুদান। তার পরেও সাফল্য নেই। আসবেই বা কী করে? কোটার প্লেয়ার খেলিয়ে কি চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়? আশায় ছিলাম, বাংলা দল এবার ঘরের মাঠে রনজি ট্রফি জিতবে বলে। কিন্তু আক্ষেপ রয়েই গেল। খেলায় হারজিত থাকে। কিন্তু বাংলা দল তো জেনে শুনে বিষ পান করল।
advertisement
ওপেনার হিসেবে ফাইনালে এমন একজন ক্রিকেটারকে খেলানো হল, যে এর আগে বড় কোনও ম্যাচে অংশ নেয়নি। এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত কার? সিএবি কর্তারা দায় এড়াতে পারেন না। লক্ষ লক্ষ মানুষের আশায় জল ঢেলে দিচ্ছেন কিছু স্বার্থান্বেষী কর্তা। ৩৩ বছর ধরে আমরা অপেক্ষা করছি আরও একবার রনজি ট্রফি জয়ের স্বাদ পেতে। সেই সুযোগ তো এসেছিল।
কিন্তু হেলায় হারালাম কিছু কর্মকর্তার দোষে। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার হতশ্রী পারফরম্যান্সে বেজায় ক্ষুব্ধ ক্রীড়ামন্ত্রী। রাখঢাক না করে তিনি আইএফএ সচিবকে একহাত নিলেন। নিন্দার সুরে বললেন, এটা কী চলছে। কারা খেলছে বাংলার জার্সি গায়ে? ওরা কি সন্তোষ ট্রফিতে খেলার যোগ্য?
কারা এমন দল গড়ল? আমার তো মনে হচ্ছে, ক্রিকেটর মতো ফুটবলেও বাংলা দলে কোটা সিস্টেম চলছে। এটা মানা যায় না। সিএবি কিংবা আইএফএ কর্তারা হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমীর আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। কোটা প্রথা না উঠলে বড় সাফল্য আসবে। এই বলে তিনি কার দিকে উদ্দেশ্য করলেন সেটা অবশ্য পরিষ্কার নয়। কিন্তু বাংলার ক্রীড়া মন্ত্রীর এরকম অভিযোগ অবশ্যই ঝড় তুলবে, বলা বাহুল্য।