পরে ব্যক্তিগত ইভেন্ট শুরু হওয়ার পর তিনি প্রমাণ করতে শুরু করেছেন কেন অতীতে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন খেলোয়ার হয়েছিলেন। হায়দারাবাদের এই তরুণ এই মুহূর্তে দেশের পুরুষ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের মধ্যে নিঃসন্দেহে সেরা। শ্রীকান্তের পক্ষে খেলার ফলাফল ২১-৯, ২১-১২। এই জয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে নিজের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে নিতে পারবেন তিনি।
advertisement
ঘন্টাখানেক পর দ্বিতীয় ম্যাচে পিভি সিন্ধু উগান্ডার প্রতিপক্ষ হুসিনা কোবুগাবেকে উড়িয়ে দিয়ে শেষ আট এ জায়গা নিশ্চিত করলেন। একপেশে লড়াই চলল মাত্র ২৯ মিনিট। দেখে মনে হচ্ছিল অনুশীলন ম্যাচ খেলতে নেমেছেন ভারতের ব্যাডমিন্টন কুইন। বেশি গা লাগালেন না। প্রয়োজনের তুলনায় শক্তি ক্ষয় করার দরকার পড়েনি।
আসলে অলিম্পিকের সঙ্গে কমনওয়েলথের পার্থক্য অনেকটাই সেটা প্রমাণিত হচ্ছে রোজ। সিন্ধু ফাইনালে পৌঁছবেন সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে এখনো পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে তার স্বর্ণপদক নেই। যে ছন্দে এবং ফর্মে আছেন এবার, তাতে এবার সোনা জিততে না পারলে ভবিষ্যতে নিজের ভাগ্যকে দোষ দিতে হবে।
এমনিতে চিন, জাপান এবং চিনা তাইপের তাই জু ইং ছাড়া সিন্ধুকে আটকানোর মতো কেউ নেই। ভারতের ভাগ্য ভাল, এদের মধ্যে কেউ কমনওয়েলথ খেলে না। তবুও স্বর্ণপদক জয় অত সহজ নয়। সিন্ধু নিজেই জানিয়েছেন একটি করে ম্যাচ হিসেব কষে এগোতে চান।