শুক্রবার সচিন, কোহলিদের তালিকায় যুক্ত হলেন পুনম। তবে তাঁর বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অস্ট্রেলিয়া অবাক। শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার বেথ মুনি বলেন ‘‘আমি পুনমের জায়গায় থাকলে কখনওই এভাবে বেরোতাম না।’’ অনেকের মতে এখনকার ক্রিকেটে ডিআরএস-এর সুবিধা এসে গিয়েছে। সেটার উপরে বিশ্বাস রাখা উচিত। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল মনে হলে অস্ট্রেলিয়া ডিআরএস নিতে পারত। সেটার জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিল পুনমের। ১৬৫টি বল খেলে ৩৬ রান করে ফিরে যান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন - Smriti Mandhana Pink ball century : অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নয়া নজির স্মৃতি মন্ধানার
ঘটনার সূত্রপাত হল বল করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সোফি মোলিনেক্স। ভারতের পুনম রাউতের ব্যাটে বল লেগে বা না লেগে তা পৌঁছে গেল উইকেটরক্ষক অ্যালিসা হেইলির হাতে। আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন করলে তিনি মাথা নেড়ে নট আউটের সিদ্ধান্ত দিলেন। কিন্তু মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন পুনম। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে দেখা গিয়েছিল আম্পায়ার নট আউট দেওয়া স্বত্তেও মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
সঙ্গকারার হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। আম্পায়ারের মনে হয়েছিল আউট নন গিলক্রিস্ট। কিন্তু তাঁর মনে হয়েছিল ব্যাটে বল লেগেছে। বেরিয়ে যান তিনি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে আম্পায়ার আউট না দিলেও মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। চিপকের মাঠে বল করছিলেন রবি রামপল। সচিনের গ্লাভসে বল ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে জমা পড়ে। আম্পায়ার যদিও বুঝতে পারেননি। তিনি আউট দেননি। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেননি সচিন। এ
ছাড়াও ইংল্যান্ডের মাটিতে ইয়ান বেল আউট হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে। মহেন্দ্র সিং ধোনি তাকে ডেকে পাঠান আবার ব্যাট করার জন্য। এটা নজির। অতীতে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ অ্যাম্পিয়ার আউট না দেওয়া সত্ত্বেও বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কে বলেছে ক্রিকেটে সব সময় রান, উইকেট, ক্যাচের মূল্য আছে? সততার মূল্য আসলে মাপা যায় না। আজ তাই পুনমকে নিয়ে গর্বিত দেশ।