শৈশবে আর্থিক অনটনের কারণে মামার বাড়িতেই বড় হয়েছেন প্রিয়াংশু। বাবা সামান্য কাজ করতেন। ফলে দিদা-দাদুই হয়ে উঠেছিলেন তার অভিভাবক। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতিও সমান আগ্রহ ছিল তার। ক্লাস সেভেনে কলকাতা জুড়ে আয়োজিত সায়েন্স অলিম্পিয়াডে প্রথম হন প্রিয়াংশু। শুধু একবার নয়, টানা তিনবার সেই প্রতিযোগিতায় সেরা হন তিনি।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের পর বিজ্ঞান নিয়েই এগোনোর সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও হাল ছাড়েননি কৃতি ছাত্র প্রিয়াংশু। অক্লান্ত পরিশ্রম করে অবশেষে সুযোগ পান আইআইটি মাদ্রাসে। পাশাপাশি আইআইএম সম্বলপুর থেকেও ডাক আসে তার কাছে। তবে সেখানে থেকে মাস্টার্স করার ইচ্ছা রয়েছে ভবিষ্যতে বলেও জানান প্রিয়াংশু।
advertisement
পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেটেও কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি। রাজ্যের একমাত্র সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বিশ্বভারতীর প্রথম সারির ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত প্রিয়াংশু। মাঠে নিয়মিত অনুশীলন করে নিজের প্রতিভাকে উজ্জ্বল করেছেন। খেলার মধ্য দিয়ে সাফল্য আসায় তার যাবতীয় খরচ বহন করবে ভারত সরকার, এমনটাই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাজেটে বাড়ান মাত্র ১০ থেকে ২০ টাকা! তাহলেই পেট্রল পাম্পে তেল ভরতে গিয়ে ঠকবেন না কখনও
তার কোচ হাবরা ক্রিকেট একাডেমির উদয় শঙ্কর দাস বিনা পারিশ্রমিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন প্রিয়াংশুকে। শিষ্যের সাফল্যে আজ গর্বিত তিনিও। প্রিয়াংশু নিজেও জানিয়েছেন, সাফল্যের পথে তিন বছর ধরে দিনে ছ’ঘন্টার বেশি ঘুমোননি তিনি। দেশের হয়ে খেলার স্বপ্নই এখন তার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। কৃতি এই ছাত্রের কথায়- নিজের রাজ্য, নিজের দেশকে ভালবেসে এখানেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তিনি, দেশের জন্যই কিছু করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলার এই প্রতিভাবান ছেলের।
Rudra Narayan Roy