প্রাথমিক তদন্তে যে তথ্যগুলি উঠে আসছে, প্রথম, বুধবার গোটা সেলিব্রেশনের অনুষ্ঠানেই আপত্তি ছিল বেঙ্গালুরু পুলিশের। কিন্তু সেই আপত্তি শোনেনি আরসিবি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই পুলিশ আরসিবির অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়। পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার আগে ও পরে একাধিক চিঠি চালাচালি হয়েছে কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা, আরসিবি এবং প্রশাসনের মধ্যে। পুলিশ প্রথমে গোটা অনুষ্ঠানটিই রবিবার সরিয়ে নিতে চেয়েছিল। পরে বাধ্য হয়ে বুধবার শর্তসাপেক্ষ সেলিব্রেশনের অনুমতি দেয়।
advertisement
দ্বিতীয়ত, পুলিশের অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও ফ্র্যাঞ্চাইজির সোশাল মিডিয়া পোস্টে কেন বিজয় মিছিলের কথা ঘোষণা করা হল? বিজয় মিছিলের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বুধবার সকাল থেকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করে আরসিবি ফ্যানেরা। পরে পরিস্থিতিবেগতিক হতে পারে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। মানুষেরে আবেগ বুঝতে কেন এত দেরি হল আরসিনি কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের।
তৃতীয়ত,পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে আনুমানিক সময় ৩:৫০ নাগাদ। সেই সময় স্টেডিয়ামে পৌঁছয়নি আরসিবি টিম বাস। এমনকি অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সকে দাঁড় করিয়ে টিম বাসকে মাঠে ঢোকানো হয়েছিল। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে অনুষ্ঠান হয়েছে। অর্থাৎ দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর অনুষ্ঠান দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই যুক্তিটা ঠিক নয়।
আরও পড়ুনঃ IND vs ENG: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে কেমন হলে ভারতের একাদশ? কী জানালেন শুভমান গিল
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা গোটা শহরকে শোকাহত করেছে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার যথার্থতা নিয়ে। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। আরসিবির স্বপ্নের সাফল্যে ক্ষত হয়ে থেকে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা।