এই দম্পতি ২৬ অগাস্ট ২০১৯-এ ইসলামাবাদে বিয়ে করেন এবং তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সান্নিয়া তার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তাঁর সংসার ভেঙে গেছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, নানা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও পরিবারকে টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি স্ত্রী ও মা হিসেবে নিজের দায়িত্বে অটল ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় পক্ষের জড়িয়ে যাওয়ার কারণেই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। সান্নিয়া আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করেন, কেউ একজন ইমাদকে বিয়ে করতে চায়।
advertisement
তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “আমি গভীর যন্ত্রণা থেকে এই কথাগুলো লিখছি। আমার সংসার ভেঙে গেছে, আর আমার সন্তানরা তাদের বাবাকে হারিয়েছে। আমি তিন সন্তানের মা, যার মধ্যে পাঁচ মাসের একটি শিশুও আছে—যাকে তার বাবা এখনও কোলে নেয়নি। এটি এমন কোনও গল্প নয় যা আমি শেয়ার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নীরবতাকে কখনওই দুর্বলতা বলে ভুল করা উচিত নয়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “অনেক দাম্পত্য জীবনের মতো আমাদের সম্পর্কেও সমস্যা ছিল। তবুও তা টিকে ছিল। স্ত্রী ও মা হিসেবে আমি নিজের দায়িত্বে অটল ছিলাম এবং পরিবারকে রক্ষা করার জন্য আন্তরিক চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বিয়ের ইতি ঘটে। তৃতীয় পক্ষ জুড়ে যায়—যার উদ্দেশ্য ছিল আমার স্বামীকে বিয়ে করা। টালমাটাল এই সম্পর্কে সেটিই ছিল শেষ আঘাত।”
ইমাদও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলা বারবারের দ্বন্দ্বের কারণেই এই বিয়ের ইতি ঘটেছে এবং সবাইকে বিভ্রান্তিকর কোনও বক্তব্যে বিশ্বাস না করার অনুরোধ জানান।
ইনস্টাগ্রামে ইমাদ লেখেন, “অনেক ভেবেচিন্তে এবং গত কয়েক বছরে বারবার সৃষ্টি হওয়া কিছু দ্বন্দ্বের কারণে, যা আর সমাধান করা সম্ভব হয়নি, আমি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছি। সন্তানদের বিষয়ে বলতে চাই, আমি ওদের বাবা হিসেবে থাকব, সম্পূর্ণ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ওদের যত্ন নিতে থাকব। আপনাদের বোঝাপড়া ও সম্মানের জন্য ধন্যবাদ। সবাইকে অনুরোধ করছি, কোনো বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে জড়াবেন না বা সেগুলো বিশ্বাস করবেন না।”
আরও পড়ুন- টেস্ট দলের দায়িত্বে কি গম্ভীরের বদলে অন্য কেউ? তুমুল জল্পনা, মুখ খুললেন BCCI শীর্ষ কর্তা
ওয়াসিম ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি নিজের অবসর সিদ্ধান্ত বদলে ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন, যেখানে তিনি তিনটি ম্যাচে অংশ নেন।
পাকিস্তানের হয়ে তিনি ৫৫টি ওয়ানডে ও ৭৫টি টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ১,৫৪০ রান করেন, যার মধ্যে রয়েছে ছয়টি অর্ধশতক। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে তিনি পাকিস্তানের হয়ে মোট ১১৭টি উইকেট নেন।
