শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এগারোয় ছিলেন না রোনাল্ডো। দলের সেরা তারকার পরিবর্তে কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস নামিয়েছিলেন তরুণ স্ট্রাইকার গনসালো র্যামোসকে। তিনি হ্যাটট্রিক করে কোচের আস্থার মর্যাদা রাখেন। রোনাল্ডোকে মাঠে নামানো হয় ম্যাচের ৭৩ মিনিটে।
সেই সময় ৫-১ গোলে এগিয়ে পর্তুগাল। ম্যাচে কার্যত কিছুই অবশিষ্ট ছিল না, যা সিআরসেভেনের আত্মাভিমানে আঘাত করে। খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, পর্তুগিজ মহাতারকা রীতিমতো ক্ষিপ্ত কোচের উপর। আর তার মাত্রা এতটাই চড়া যে, ম্যাচ শেষে সতীর্থরা যখন মাঠে বিজয়োল্লাসে মত্ত, তখন গটগট করে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিনি। এখানেই শেষ নয়।
advertisement
বুধবার বল পায়ে অনুশীলনও করেননি তিনি। স্রেফ জিম করেই থেমে যান। এরপর ৩৭ বছর বয়সি তারকা নাকি পর্তুগাল শিবির থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সেদেশের ফুটবল সংস্থা এই খবর অস্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রোনাল্ডোর বিশ্বকাপের আসর ছেড়ে যাওয়ার রিপোর্ট পুরোপুরি মিথ্যা।
অধিনায়ক কখনওই জাতীয় দলকে পরিত্যাগ করার কথা বলেননি। এই মর্মে স্বয়ং রোনাল্ডোও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, বাইরের শক্তি আমাদের ভাঙতে পারবে না। কোনও পরিস্থিতিতেই আমরা ঘাবড়ে যাই না। জাতিগত ভাবে আমরা অত্যন্ত সাহসী। আমরা যথার্থ অর্থেই একটা দল। পর্তুগাল শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে।
মরক্কোর বিরুদ্ধে রোনালদোকে প্রথম দলে রাখবেন নাকি পরে ব্যবহার করবেন এই ব্যাপারে কথা বলেননি কোচ স্যানটস। তবে রোনাল্ডো এমন একটা দলের অধিনায়ক হতে পেরে গর্বিত সেটা তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকেই পরিষ্কার।