২০০৩ সালে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন স্পর্টিং লিসবন থেকে ১৮ বছর বয়সে উইঙ্গার রোনাল্ডোকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে এনেছিলেন। তারপর থেকে শুরু হয়ে যায় ম্যাঞ্চেস্টারে এক নতুন স্বপ্নের অধ্যায়। ছয় বছর ধরে ইংল্যান্ডের মাটিতে ২৯২ ম্যাচ খেলে ১১৮ গোল করেন। ব্যালন ডি'অর, চ্যাম্পিয়নস লিগ, সোনার বুট সবই জিতে নিয়েছেন তিনি। এরপর ২০০৯ তে রেকর্ড অঙ্কের মূল্যতে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যান।
advertisement
বারো বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে ফিরে এসে নিজের রাজত্ব কায়েম করে ফেলেছেন। একের পর এক ম্যাচে ইউনাইটেডকে হারের মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। প্রাক্তন কোচ ওলে গুনার সোলস্কার তার চাকরি বেশ কদিন শুধু রোনাল্ডোর জন্যই বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছিলেন। তবে এরকম শোনা যাচ্ছে তিনি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফুটবলারের কেরিয়ার শেষ করে, ক্লাবেই থাকতে চান পরিচালক হিসেবে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ফার্গুসন এবং রোনাল্ডো দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তার অভিজ্ঞতা জিজ্ঞেস করা হয় ফার্গুসনকে। রোনাল্ডোর দিকে তাকিয়ে ফার্গুসন বলেন, তারও ভবিষ্যতে কোচ হওয়া উচিত। কারণ নিজের সেরা ছাত্রের মধ্যে কোচ হওয়ার গুণ তিনি লক্ষ্য করেছেন। এর উত্তরে রোনাল্ডো জানান, হয়তো না, তিনি অনিশ্চিত।
কারণ চাইলেই কোচ হওয়া যায় না। ডিগ্রি পেতে গেলে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হয়। কোচিং লাইসেন্স পাওয়া আগের মতো সহজ নয়। বড় ফুটবলার হলেই, বড় কোচ হতে পারবেন, এমন গ্যারান্টি নেই। তাছাড়া পেশাদার ফুটবলার হিসেবে সারা জীবন প্রচুর চাপ নিয়েছেন।
অর্থের অভাব নেই। নিজের টাকা নিজেই গুণে শেষ করতে পারবেন না। তাহলে আবার কোচিং করে অযথা নিজেকে চাপে ফেলতে যাবেন কেন? ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো হিসেবেই মানুষের মনে থাকতে চান। আনন্দ করে, পরিবারের সঙ্গে বাকি জীবন কাটাতে চান। অন্যান্য ব্যবসা আছে। সেদিকে নজর দেবেন। কিন্তু কোচিং? না, কোনভাবেই ফুটবল ম্যানেজার হতে রাজি নন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।