গত দশ বছর ধরে ক্লাবের মাঠ, পিচ দেখাশোনা করতেন। ক্লাবের মাঠে জেলার ক্রিকেট-সহ সিএবির খেলা হয়। গত দুদিন বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে জল জমে ছিল।
আজ সকালে পাম্প চালিয়ে জল বের করা এবং পিচ প্রস্তুত করার কাজ চলছিল। পাম্প চালিয়ে জল বের করার সময় বিদ্যুৎ এর তার থেকে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। মাঠে সে সময় আরও একজন কাজ করছিলেন। তিনি দেখতে পেয়ে ক্লাবে খবর দেন। অর্পনকে চন্দননগর হাসপাাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন- সুনীল গাভাসকর হারালেন ‘কাছের মানুষ’কে, প্রিয়জনকে হারিয়ে ফিরে গেলেন বাড়ি
তাঁর দেহ ময়না তদন্তের পর সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ ক্লাবের সামনে নিয়ে আসা হয়। ক্লাবের তরফে পতাকা ফুল মালা দেওয়া হয়। এর পরই মৃতের পরিবার ও পাড়ার লোকজন ক্ষতিপূরণের দাবী করে।
দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবী করা হয়। ক্লাবের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেও কোনো রফা সূত্র মেলে না। মানকুন্ডু স্টেশন রোডে ভিড় জমে যায়। চন্দননগর থানার পুলিশ হাজির হয়। পুলিশের মধ্যস্থতায় আলোচনা হয় দফায় দফায়। রাত দশটা পর্যন্ত কোনো রফা সূত্র মেলে না।
মৃত যুবকের প্রতিবেশি মিঠুন নন্দী বলেন,অর্পন মাঠের পিচ প্রস্তুত থেকে সব কাজ করত। ও ইলেকট্রিকের কাজ জানত না। তাও ওকে দিয়ে ইলেকট্রিকের কাজ করানো হয়। কাটা তার জলে পড়ে থাকায় শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। একটা তরতাজা ছেলে চলে গেল। ক্লাব সম্পাদক ওকে দিয়ে সব কাজ করাত। অথচ মৃত্যুর পর ওর বাবা মায়ের কী হবে তা ভাবছে না কেউ।
আরও পড়ুন- বিরাট কোহলি বাবা হচ্ছেন! একদম পাকা খবর, জানিয়ে দিলেন ‘প্রিয় বন্ধু’
ক্লাব সম্পাদক সঞ্জয় কর্মকার বলেন, অর্পণ আমাদের মাঠের পিচ দেখাশোনা করত। আমরা ওদের দাবী মেনে এখন দু লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আর ওর বাবা মাকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দুজনের মেডিক্লেমও করে দেওয়া হবে।
রাহী হালদার