জ্বালানি ও রান্নার গ্যাস কিনতে দীর্ঘ লাইন। গণপরিবহন বন্ধ। স্কুল ও অফিসের কাজ হচ্ছে বাড়ি থেকে। সেটাও আর কতদিন হবে কেউ জানে না। কঠিন পরিস্থিতি বোধ হয় একেই বলে!
দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট পাগল দেশটিতে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে। সারা দেশে এখন জ্বালানি সরবরাহ সীমিত।
advertisement
আরও পড়ুন- India WTC : ইংল্যান্ডের কাছে হারে পাকিস্তানের নীচে নামল ভারত! ফোকাস নাকি টি ২০ বিশ্বকাপ
১০ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা বনাম অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট দেখতে গলে এসে উজিত নীলান্ত বলছিলেন, "হ্যাঁ দেশে এখন হাজার সমস্যা রয়েছে। মানুষ সব রকমের সমস্যার মুখে। গরিব মানুষ আরও অসহায় হয়ে পড়েছে। সমস্যার শেষ নেই শ্রীলঙ্কায়। আমরা একঘেয়ে জীবনযাপন করছি। কখনও কখনও ৫, ৬ বা ৭ দিন বাড়িতে রান্না হচ্ছে না। জ্বালানি নেই। বাচ্চারা আর হাসে না।"
তিনি আরও বলেন, "শিশুদের মন ভাল নেই। আমরা শিশুদের তাদের যা প্রয়োজন তা দিতে পারছি না। আমরা যখন ক্রিকেট দেখি, তখন এত খারাপ পরিস্থিতিতেও মানসিকভাবে কিছুটা ভাল বোধ করি।"
প্রায় ২৫ বছর ধরে চলা শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ তাদের দেশের ক্রিকেটের অগ্রগতি এবং সমর্থকের সংখ্যাকে প্রভাবিত করতে পারেনি। তামিল টাইগার বিদ্রোহী গোষ্ঠী একটি স্বাধীন দেশের জন্য লড়াই করছিল। তবে তারা সব দিক থেকে এখন পরাজিত হয়েছে।
সেই তামিল টাইগাররা ১৯৯৬ বিশ্বকাপ ফাইনালের সময়ও গুলি চালানো বন্ধ রেখেছিল। শ্রীলঙ্কা সেবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল। সারা দেশ সেই আনন্দে মেতে উঠেছিল। সব সমস্যার কথা ভুলে।
১৬ বছর বয়সী নেথুমাকসিলা মাতারা থেকে ট্রেনে চেপে গলে এসেছেন ম্যাচ দেখতে। চলতি বছর গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকার কারণে সে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেনি। নেথুমাকসিলা বলছিলেন, 'দুঃখের সময়ে আমাদের শুধুই ক্রিকেট আছে। মনটাকে কিছুক্ষণ শান্ত করার জন্য আমরা এখানে ক্রিকেট দেখতে এসেছি।'