কামিন্স খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে, ডেভিড ওয়ার্নারকে দেখা যাবে দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর জশ হ্যাজলউড আছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শিবিরে। ফলে দেশের হয়ে খেলার চেয়ে কামিন্সরা আইপিএলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল। প্রাক্তন ওপেনার ম্যাথু হেইডেন দাবি তুলেছিলেন, যারা দেশের হয়ে ইচ্ছেমতো ম্যাচ খেলা-না-খেলার সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের যেন বেতন কেটে রাখা হয়।
advertisement
সেসব সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক। কামিন্সের মতে, পাকিস্তানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে না খেলার ব্যাপারটা সম্পূর্ণভাবে কাজের চাপ সামলানো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এবিসি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কামিন্স বলেছেন, আমি জানি মানুষজন এ ব্যাপারে কথা বলছে, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্ন এ ক্ষেত্রে।
বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা বছরের ১২ মাসই খেলি। কোনোভাবে যদি এক সপ্তাহ ফাঁকা যায়, তখন একটু বিশ্রাম নেওয়া যায়। যার কারণে সঙ্গে সঙ্গে না হলেও পরে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় আমাদের। টানা তিন টেস্টে অংশ নেওয়ার পর অল্প সময়ের ব্যবধানে আরও তিন ওয়ানডে ও এক টি-টোয়েন্টি খেলা অনেক চাপের ব্যাপার হয়ে যায় বলে মনে করছেন কামিন্স, বাস্তবতা হচ্ছে ২০ দিনের মধ্যে আমাদের পরপর তিন টেস্ট খেলতে হচ্ছে, অর্থাৎ ১৫ দিনেই সংশ্লিষ্ট থাকতে হচ্ছে ক্রিকেটের সঙ্গে। এর পরে তিন ওয়ানডে। অনেক বেশি চাপ হয়ে যায় আমাদের ওপর।