অস্ট্রেলিয়াকে সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বাজিদ খান। রীতিমতো হুমকির সুরেই বলেছেন, ভারতের মাটিতে স্পিনের ‘সূত্র’ দিয়ে সফলতা পাওয়া গেলেও পাকিস্তানে সেটা সম্ভব নয়। প্রায় ২৩ বছর পর আগামী মার্চে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ার। সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলবে অস্ট্রেলিয়া।
advertisement
আরও পড়ুন - Ross Taylor: রস টেলরের নীরব অবসর! এই ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদায়বেলায়ও ছিল সাদামাটা
এই সিরিজ দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন ক্রিকেট সমর্থকেরা। দুই দলও সাজাচ্ছে পরিকল্পনা। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের মাটিতে একটিমাত্র টেস্ট ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। এক ম্যাচের ভিত্তিতে পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া না গেলেও বাজিদ খান মনে করেন, পাকিস্তানে স্পিনারদের তুলনায় পেস বোলাররা বেশি সুবিধা পাবেন। ক্রিকেট ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই বলেছেন বর্তমানে ধারাভাষ্যকার বনে যাওয়া এই ক্রিকেটার।
বাজিদ খান বলেন, খেলায় দুজন স্পিনার থাকবে এবং এটা পুরোপুরি স্পিনসহায়ক হবে—এই সাধারণ ধারণাটা আমি ভুল মনে করি। ভারতের মাটিতে ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পেস বোলাররা উইকেট পেয়েছেন ১৫০টি ও স্পিনাররা ২৫৮টি। অন্যদিকে পাকিস্তানের মাটিতে ২০১৯ সালের শেষদিক থেকে আয়োজিত পাঁচ টেস্টে পেসাররা ৩০-এর নিচে গড়ে নিয়েছেন ৮৯ উইকেট, আর স্পিনাররা ৪৮ উইকেট নিয়েছেন প্রায় ৪০ গড়ে।
এই পরিসংখ্যান এবারের সিরিজেও কাজে আসবে মনে করেন বাজিদ খান, পাকিস্তান ভারতের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। স্পিন বল সরাসরি কাজে আসছে না। স্পিনারদের তুলনায় পেসাররা বেশি উইকেট নিচ্ছেন। আপনার দলে যদি দুজন বিশ্বমানের স্পিনার না থাকে, তাহলে আমি মনে করি স্পিনার না খেলানোই ভাল।
এই পর্যন্ত বলেই থামেননি বাজিদ।
তিনি সরাসরি বলে দিয়েছেন উপমহাদেশের সূত্র পাকিস্তানে খাটবে না। এটা মানতে অসুবিধা নেই এই মুহূর্তে শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ এবং হাসান আলিকে নিয়ে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ নজর কাড়ার মতো। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটা প্রমাণ করেছেন তারা। তবে অস্ট্রেলিয়ার হাতে প্যাট কামিন্স, হাজেলউড, মিচেল স্টার্কদের মত ফাস্ট বোলার আছে। তাই পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ফাস্ট বোলারদের দাপট দেখা যেতে পারে।
