এরপর একই কারণ দেখিয়ে ইংল্যান্ড তো পাকিস্তান সফরেই যায়নি। দুটি ঘটনাই গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে। বিশ্বকাপের পরপরই পাকিস্তান বাংলাদেশে এসে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে গেছে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তানে গিয়ে খেলেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কয়েক দিন আগে অস্ট্রেলিয়াও নিশ্চিত করেছে, আগামী মার্চ-এপ্রিলে নির্ধারিত পাকিস্তান সফরে যাবে তারা।
advertisement
পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য এটা সুখবর বৈকি। বড় দলগুলো যত বেশি পাকিস্তান সফর করবে, সেখানে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের সম্ভাবনা তত বাড়বে। সেটা যাতে হয়, সে জন্য অতিথি দলগুলোর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সব উদ্যোগই নিচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও দেশটির সরকার। দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের জন্য পাকিস্তানকে এখন এভাবেই আশ্বস্ত করতে হয় সফরকারী দলগুলো আর খেলোয়াড়দের।
ভরসা দিতে হয়, যেখানেই যা ঘটে যাক না কেন, খেলোয়াড়দের গায়ে তার কোনো আঁচই লাগবে না। ২০০৯ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান সফর বন্ধ করে দেয় দলগুলো। দেশের মাটিতে ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ‘পরবাসে ঘর’ বানায় তারা।
তবে গত কয়েক বছরে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ পাকিস্তান সফর করেছে। পিসিবি এখন ঘরের মাঠে নিয়মিত আয়োজন করে আসছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পিএসএল। সেখানে খেলছেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা।