সিন্ধুর বাবা পিভি রমানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘সম্ভবত ৩ অগাস্ট দেশে ফিরছে সিন্ধু ৷ আমার দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা আছে ৷ অলিম্পিকে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী উৎসাহ দিয়েছিলেন এবং সিন্ধুকে বলেছিলেন যে টোকিয়ো থেকে ফেরার পর তাঁরা একসঙ্গে আইসক্রিম খাবেন ৷ এ বার সিন্ধু প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সঙ্গে আইসক্রিম খাবে ৷’’ অলিম্পিক থেকে আরও পদক দেশে আসুক, সে কথাও জানাতে ভোলেননি গর্বিত পিতা ৷
advertisement
প্রসঙ্গত সম্ভাব্য আইসক্রিম পর্ব এখন নেট দুনিয়াতেও বহু চর্চিত ৷ পর্বের সূত্রপাত গত ১৩ জুলাই ৷ সেদিন ভার্চুয়াল সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন সিন্ধুর বাবা মা ৷ অলিম্পিকের জন্য তাঁর প্রস্তুতি কেমন চলছে, সে কথা জানতে চান নরেন্দ্র মোদী ৷ সিন্ধুর কাছে তিনি জানতে চান, প্রস্তুতিপর্বে নিজের প্রিয় আইসক্রিম তিনি খাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন কি না৷
উত্তরে প্রধানমন্ত্রীকে সিন্ধু বলেন, ‘‘স্যর, আমাকে ডায়েট নিয়ন্ত্রণ করতেই হচ্ছে ৷ কারণ একজন অ্যাথলিটের কাছে ডায়েট খুব গুরুত্বপূ্র্ণ ৷ আর যেহেতু আমি অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, তাই কিছু ডায়েট কন্ট্রোল তো আমাকে করতেই হবে ৷ তাই আমি বেশি আইসক্রিম একদমই খাই না ৷ শুধুমাত্র ক্বচিৎ একটা ৷’’
তার পরই প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন যে অলিম্পিক থেকে সিন্ধু ফেরার পর তাঁরা একসঙ্গে আইসক্রিম খাবেন ৷ রবিবার সিন্ধু ব্রোঞ্জজয়ী হওয়ার পর নতুন করে চর্চিত হচ্ছে আইসক্রিমের প্রসঙ্গ ৷
টোকিয়ো অলিম্পিকে পদকজয়ী আর এক ভারতীয় অ্যাথলিট মণিপুরের চানুর সঙ্গে ইতিমধ্যেই আইসক্রিম খেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং অনুরাগ ঠাকুর ৷ এর পর এখন সিন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর একসঙ্গে আইসক্রিম খাওয়া দৃশ্য দেখার স্বপ্নে বিভোর দেশ ৷ নেটিজেনদের মত, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইসক্রিম খাওয়ার সুযোগ সকলের হয় না ৷ সিন্ধু এই সুযোগ জয় করেছেন নিজের প্যাশন, উৎসর্গ এবং কঠিন পরিশ্রমের বিনিময়ে ৷
