জিতল কলাবাগানের ফাইভ স্টার ঘুড়ি ক্লাব। পেল দশ হাজার টাকা পুরস্কার। প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা সৌরভ দাশগুপ্ত জানান, "আমাদের প্রতিযোগিতায় চিনা মাঞ্জার কোনও ব্যবহার নেই। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই প্রতিযোগিতা হয়। ঘুড়ি ওড়ানোর ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে এই উদ্যোগ। সরকারের উচিত এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করা।" ঘুড়ি প্রতিযোগিতার নিয়ম-- একটি চৌকো জায়গায় টুর্নামেন্ট- নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ঘুড়ি ওড়ানো যাবে- প্রত্যেক টিমে ৩ খেলোয়াড়- একজন সর্বোচ্চ ৪টি ঘুড়ি ওড়াতে পারেন- জায়গার বাইরে একজন লাটাই ধরবেন । শুধু ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা নয়। বিভিন্ন নকশা করা ঘড়ির প্রদর্শনীয় ছিল প্রতিযোগিতার ফাইনালে। লক্ষ্য একটাই, স্মার্টফোনে বুঁদ তরুণ প্রজন্মকে মাঠে ফেরানো। দীর্ঘদিন ধরে নকশা করা ঘুড়ি বানান নজিব রহমান। তার হাতের ছোঁয়াতেই ঘুড়িতে ফুটে ওঠে দুর্গা প্রতিমা। বাঘ থেকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা। নাজিব জানান," প্রচুর মানুষ আছেন যারা নকশা করা ঘুড়ি কেনেন। বিদেশেও এর চাহিদা প্রচুর। ২ হাজারথেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত এই ঘুড়ি গুলির দাম। তবে কলকাতায় চাহিদা কম।" বাবা-কাকাদের থেকে শেখা এই কাজটাই নতুন প্রজন্মকে শেখাতে চান নাজিব। বিশ্বের বাকি সব খেলার মত ঘুড়িরও বিশ্বকাপ হয়। ধাপে ধাপে সেখানে পৌঁছে তেরঙ্গা ওড়ানোই লক্ষ্য প্রতিযোগীদের।
advertisement
ERON ROY BURMAN
