স্কুলজীবনে অতিরিক্ত ওজন কমানোর উদ্দেশ্যেই টেবিল টেনিসকে বেছে নিয়েছিলেন সুতীর্থা। কিন্তু সেই খেলাই একদিন তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে ভারতীয় টেবিল টেনিসের সর্বোচ্চ মঞ্চে। ধীরে ধীরে কঠোর অনুশীলন, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাসের জোরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের জায়গা পাকা করেছেন তিনি। ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকের এশিয়ান কোয়ালিফায়ারে ভারতের তৎকালীন এক নম্বর খেলোয়াড় মনিকা বাত্রাকে হারিয়ে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের কেরিয়ারের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছান।
advertisement
অলিম্পিকে নিজের অভিষেক ম্যাচেই দুই গেম পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে উচ্চতর র্যাঙ্কিংয়ের সুইডিশ খেলোয়াড় লিন্ডা বার্গস্ট্রমকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেন তিনি। যদিও দ্বিতীয় রাউন্ডে পর্তুগালের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ফু ইউ-এর কাছে ৪-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যেতে হয় সুতীর্থাকে, তবুও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম বড় স্বপ্নপূরণ। এক সময় কঠোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েও হাল না ছেড়ে আবার নতুন করে নিজের কেরিয়ার গড়ে তোলেন সূতীর্থা। সেই লড়াই ও ফিরে আসার গল্প আজ বহু তরুণ খেলোয়াড়ের কাছে অনুপ্রেরণা।
১৯৯৫ সালের ১০ অক্টোবর নৈহাটিতে জন্মগ্রহণ করা সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় বর্তমানে ভারত ও বাংলার টেবিল টেনিসের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ। দেশের হয়ে নিয়মিত ভালো পারফরম্যান্সের পাশাপাশি জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। তাই অর্জুন পুরস্কারের জন্য তার নাম মনোনীত হওয়া সুতীর্থার দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও সাফল্যেরই স্বীকৃতি বলে মনে করছেন নৈহাটির মানুষজনসহ জেলার ক্রীড়াবিদরা।






