সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু পানিপতের সুদর্শন যুবক। সাংবাদিকদের সঙ্গেও সোনার পদক নিয়ে দেদার ছবি তুলেছেন। অভিনব বিন্দ্রা আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। টোকিও ছাড়া লাগে ভারতীয় গেমস ভিলেজে হাজার ওয়াটের আলো জ্বালালেন এই কৃষক পরিবারের সন্তান। নিজের সাফল্যের আনন্দ বাকিদের সঙ্গে ভাগ করে দিলে কয়েকগুণ বেড়ে যায় এটা দেখে বোঝা গেল নীরজকে।
টোকিওর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে যখন জাতীয় সংগীত বাজছে, তখন জাতীয় পতাকার দিকে তাকিয়ে ছেলের চোখে হয়তো কিছুটা জল। স্বপ্ন সার্থক হওয়ার মুহূর্ত আবেগঘন হবেই। ১৩০ কোটির মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিনি। কিন্তু ইতিহাস তৈরি করে দাঁড়িয়েও অদ্ভুত শান্ত এবং বিনম্র। মাটির কাছাকাছি। জানিয়ে দিলেন এই পদক উৎসর্গ করেছিলেন মিলখা সিং এবং পি টি ঊষাকে।
রোম অলিম্পিকে মিলখা এবং মেলবোর্নে ঊষার হাত থেকে পদক ছিটকে গিয়েছিল মুহূর্তের ভুলে। সেই আক্ষেপ আজও বহন করে চলেন তাঁরা। কদিন আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন মিলখা সিং। নীরজ জানিয়েছেন মিলখা বেঁচে থাকলে তিনি গিয়ে দেখা করে আসতেন। তিনি নিশ্চিত মিলখা সিং যেখানেই থাকুন তাঁকে দেখছেন। নীরজ মনে করেন তাঁর এই পদক দেশের সেই সব অ্যাথলিটদের জন্য যাঁরা অল্পের জন্য অলিম্পিক পদক হাতছাড়া করেছিলেন। পাশাপাশি আগামীদিনে তিনি চান তাঁর এই সাফল্য দেখে উঠে আসুক পরবর্তী প্রজন্ম।
ভুলে গেলে চলবে না এটাই ছিল তাঁর জীবনের প্রথম অলিম্পিক।আর প্রথমেই বাজিমাত। তিন বছর পর প্যারিসে তার বয়স হবে ২৬ বছর। একজন অ্যাথলিটের শারীরিক দিক দিয়ে ক্ষমতার শীর্ষে থাকার সময়। তাই ফ্রান্সে যদি আবার স্বর্ণপদক হাতে বাহুবলী নীরজকে দেখা যায়, তবে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।