টোকিও অলিম্পিক্স গেমসে দুরন্ত পারফর্ম করেছে ভারতের মহিলা হকি দল। এই সাফল্যের জন্য কোচ,প্লেয়ার,সহকারীদের সাথে সাথে আরো একজন কৃতিত্ব অর্জন করে। সেটা কোনো মানুষ বা প্রতিষ্ঠান নন। একটা আচার। হ্যাঁ একটি আচার যা সবাই খায় সেই আচারই ভারতের মহিলা দলের সব সময়ের সঙ্গী ছিল। আর্জেন্টিনা সফর থেকেই এই ক্ষীরা এবং ভিনিগারের তৈরি আচার ভারতের মহিলা দলের ড্রেসিংরুমে থাকছে।
advertisement
বলা হয় এই আচারের জন্যই ভারতের মহিলা হকি দল চতুর্থ স্থান দখল করেছে। ফিটনেস কোচ ওয়েন লোম্বার্ড বলেন শুধুমাত্র এই আচারই সাফল্য এনে দিয়েছে। কোচ নিজেও জানেন না কিভাবে এসেছে কিন্তু তিনি মনে করেন এটি কাজে এসেছে অনেক। ব্রোঞ্জ পদকের জন্য ম্যাচে গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্স দিয়েও হারতে হয় ভারতকে। খেলার ফল হয় ৩-৪। কিন্তু আবারও তারা প্রমাণ করে দিল গোটা বিশ্বকে যে ভারতের মহিলা হকি দল পিছিয়ে নেই।
গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই ভাল খেলার নজির স্থাপন করেছে এই দল।প্রেসিং,পাসিং,অ্যাটাক এবং ডিফেন্সিভ প্রতিভা অনেকটা ফুটিয়ে তুলেছে ভারতের মহিলা হকি দল।এই সাফল্যের জন্য ওয়েন লোম্বার্ড এর ভূমিকা বিরাট। কোচ সোর্ড মারিনে মনে করেন ওয়েন লোম্বার্ড টিমের সব খেলোয়াড়ের ফিটনেস ভাল করার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। এটা ছাড়া এই সাফল্য অর্জন করতে পারত না ভারতীয় দল।
তবে ওয়েন লোম্বার্ড কিন্তু কৃতিত্ব দিচ্ছেন ওই ক্ষীরা ভিনিগার আচারকেই। তিনি মনে করেন আচার শরীরে ক্রাম্প হতে দেয় না।ভিনিগার ও শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সাথে মস্তিষ্কের মেল বন্ধন আরো ভাল করে। এটি মূলত দুই উপায়ে ব্যাবহার করা হত। শট হিসেবে অথবা গারগেল করার মত করে।
ওয়েন লোম্বার্ড প্রায় ১০০টি মতন আচারের শট প্রস্তুত করে নিয়ে যান।সকালের জল খাবারের পর মেয়েরা খেত। ম্যাচের দিনক্ষণ অনুযায়ী এই শট দেওয়া হত। কোনো খেলোয়াড়ের চোট লাগলে তাকে অতিরিক্ত শট দেওয়া হত। এই আচার ব্যবহার কাজে দিয়েছে বলে মনে করে ভারতের মহিলা হকি দলের অধিকাংশ সদস্য। টোকিও অলিম্পিক্স চলাকালীন কোনো খেলোয়াড় চোট বা ক্রম্প পাননি এবার। তাই এই তথ্য জেনে অবাক হওয়ার মতই ব্যাপার।
