জানা যায়, মহম্মদ আহনাফের বয়স মাত্র ১৭। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ভাগ্নে কক্সবাজারের সমিতি পাড়া সৈকতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায়। সোমবার সকালে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাঁকে। রবিবার দুপুরে লাবণী পয়েন্টে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর তার মরদেহ সকাল ৭:৩০টার দিকে উদ্ধার করা হয়।
advertisement
সি সেফ লাইফগার্ডের ফিল্ড অফিসার ইমতিয়াজ আহমেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, সি সেফ লাইফগার্ড ও ইয়াসার লাইফগার্ড স্টেশন (ওয়াইএলএস) কক্সবাজারের স্বেচ্ছাসেবকদের রাতভর তল্লাশির পরও আহনাফের খোঁজ মেলেনি। শেষ পর্যন্ত সোমবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দোলন আচার্য জানান, আহনাফের মরদেহ সমিতি পাড়া পয়েন্টে পাওয়া যায়। আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আহনাফের পুরো নাম ছিল জুহায়ের আইমান। তিনি বগুড়া পৌরসভার কাটনারপাড়ার মহম্মদ শরিফুল ইসলামের ছেলে। রবিবার দুপুর আড়াইটের দিকে বন্ধুদের সঙ্গে তিনি সৈকতে যান। ওই সময় আরও দুজন পর্যটক জলে নেমে বিপদে পড়ে। তবে তাদের সি সেফ লাইফগার্ড উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে আহনাফ ততক্ষণে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- মারকাটারি অ্যাকশন, এবার ‘সুপারকপ’ ধোনি! সঙ্গে পার্টনার মাধবন, ঝড় তুলল টিজার
আহনাফের মর্মান্তিক মৃত্যু তার পরিবারে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে। তিনি মুশফিকুর রহিমের বড় ভাইয়ের ছেলে ছিলেন। এই দুর্ঘটনা কক্সবাজারের মতো জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় পর্যাপ্ত ও কার্যকর লাইফগার্ড ব্যবস্থার গুরুত্ব আবারও স্মরণ করিয়ে দিল। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জরুরি মুহূর্তে সাহায্য পৌঁছে দিতে প্রশিক্ষিত কর্মীদের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি।