কিন্তু তাতে যে সূর্যকুমার এমন ভাবে খেলবেন কে ভেবেছিল। আইপিএলে প্রথম বার শতরান করলেন সূর্যকুমার। এর আগে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে তিনটি শতরান ছিল তাঁর। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংসের শুরুটা যখন হয়েছিল, সূর্যকুমার যাদব তখনও সাজঘরে। তিনি ব্যাট করতে নামতেই সূর্যের তাপেই ঝলসে গেল গুজরাত টাইটান্সের বোলিং। ৪৯ বলে শতরান করলেন সূর্যকুমার।
advertisement
শেষ বলে ছক্কা মেরে শতরানের গণ্ডি পার করেন তিনি। ১১টি চার এবং ছ’টি ছক্কা মারেন সূর্যকুমার। এক কথায় তাণ্ডব চালালেন স্কাই। ছেলে খেলা করলেন গুজরাতের বোলারদের নিয়ে। রশিদ খানের চার উইকেট সূর্যের ব্যাটিং এর কাছে ম্লান হয়ে গেল। সচিন তেন্ডুলকরকে পর্যন্ত আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠতে দেখা গেল সূর্য কুমারের শট দেখে।
এই রাম তারা করে জয় পাওয়া গুজরাটের পক্ষে বেশ মুশকিল সেটা বোঝার জন্য ক্রিকেট পন্ডিত হওয়া দরকার ছিল না। কিন্তু তাই বলে গুজরাত এতটা খারাপ ব্যাটিং করবে এটাও আশা করা যায়নি। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল তাদের ব্যাটিং। ঋদ্ধিমান সাহা (২), গিল (৬), হার্দিক পান্ডিয়া (৪) প্রথম তিনজন কিছুই না করে ফিরে গেলেন। বিজয় শংকর (২৯) এবং ডেভিড মিলার (৪১) কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
এছাড়া আজ মুম্বইয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি গুজরাত। রাহুল তেওয়াতিয়া (১৪) আজ বাঁচাতে পারলেন না দলকে। রশিদ খান কয়েকটা বড় শট মারলেন বটে। কিন্তু তাতে কিছু বদলানোর ছিল না। শুধু দর্শকরা একটু মনোরঞ্জন পেলেন। আবার প্রমাণ হয়ে গেল এই মুহূর্তে কেন সূর্য কুমার যাদব পৃথিবীর সেরা টিটোয়েন্টি ব্যাটসম্যান। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরা হলেন তিনি।
কিন্তু সূর্য কুমার জানিয়ে দিলেন ছন্দে ফিরে আসতে পেরে উপভোগ করছেন। কিন্তু তার আসল লক্ষ্য মুম্বইকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা। আজকে জয়ের পর কিছুটা হলেও আশা বাঁচিয়ে রাখল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত রশিদ খান ৩১ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত রইলেন। মুম্বই জিতে গেল ২৭ রানে।