TRENDING:

অষ্টমীতেও ফেসবুক পোস্ট, দ্বাদশীতে সব শেষ! প্রয়াত মোহনবাগান অন্ত প্রাণ অনির্বাণ

Last Updated:

Mohunbagan Fan Anirban Nandy Died: একা থাকার যন্ত্রণা, তার উপর এই প্রবল অসুখ, অনির্বাণ বারবার বলতেন, মা থাকলে ভাল হত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: মাকে হারিয়েছেন, বছর ঘোরেনি। তারও অনেক আগে বাবাকে। আর এবার তিনিও মা-বাবার কাছে। অনির্বাণ নন্দী বিশ্বাস করতেন, তাঁর হৃদয়ে মা-বাবার পরই মোহনবাগান। সেই অনির্বাণ, মোহনবাগান অন্ত প্রাণ, হাসিখুশি ছেলে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
advertisement

ষষ্ঠী, অষ্টমীতেও ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। জীবন যে এত অনিশ্চিত, তা অনির্বাণ নিজেও হয়তো ভাবেননি। দ্বাদশীতে সব শেষ। বিসর্জনের বাজনার রেশ কাটতে না কাটতেই অনির্বাণ চলে গেলেন। গত কয়েক মাস ধরে তাঁর জন্য চোখ ভিজেছে ময়দানপ্রেমীদের। যে যার মতো পেরেছেন, অনির্বাণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হল না।

আরও পড়ুন- ভারত-পাকিস্তানে ম্য়াচে সান স্ট্রোকে আক্রান্ত রিচা ঘোষ, চিকিৎসা চলছে বাংলার মেয়ের

advertisement

দুটো বিকল কিডনির জন্য গত কয়েক মাসে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। একদিকে টাকা জোগারের চিন্তা, আরেকদিকে ডায়ালিসিসের কষ্ট। ডোনার পাওয়া যাচ্ছিল না। আর্থিক সাহায্যের জন্য বারবার আকুতি জানান অনির্বাণ। এত টাকা জোগানো তাঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

মা-বাবা দুজনেই প্রয়াত। ২২ সেপ্টেম্বর তবু দিদি, বন্ধুরা অনির্বাণের জন্মদিন জমজমাট করে তুলেছিলেন। সব সময় হাসিমুখে থাকা অনির্বাণ একটা দিনের জন্য হলেও ভুলে ছিলেন একাকিত্ব। একা থাকার যন্ত্রণা, তার উপর এই প্রবল অসুখ, অনির্বাণ বারবার বলতেন, মা থাকলে ভাল হত।

advertisement

ময়দানে অজাতশত্রুর হিসেবেই সবাই চিনতেন অনির্বাণকে। দিলখোলা, হাসিমুখে থাকা একজন মানুষ। ‘‌দাদাগিরির’‌ মঞ্চে নিজের অসুস্থতার কথা তুলে ধরেছিলেন অনির্বাণ। বলেছিলেন, তাঁর দুটি কিডনিই বিকল। প্রতিস্থাপন ছাড়া উপায় নেই। সবাই মিলে সাহায্য না করলে বাঁচতে পারবেন না। মা-বাবা নেই। আত্মীয়রা অনির্বাণের এই পরিস্থিততে সর্বোতভাবে পাশে দাঁড়াতে পারেননি। নিঃসঙ্গ অনির্বাণ একাই লড়ছিলেন।

advertisement

আরও পড়ুন- বিশ্বজয় করতে 'যুদ্ধক্ষেত্রে' ভারত, ছবি দিয়ে জানান দিলেন খোদ 'সেনাপতি'

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

দরকার ছিল প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকা। অনির্বাণের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও। তবে অনির্বাণ শেষ পর্যন্ত এই লড়াই জিততে পারলেন না। অসুস্থ, অশক্ত শরীর নিয়েও পুজোর কটা দিন ভাল থাকার চেষ্টা করেছিলেন। পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন। বুধবার ফেরেন। শেষ পর্যন্ত এন্টালির বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন মোহনবাগানের অন্ধ ভক্ত।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
অষ্টমীতেও ফেসবুক পোস্ট, দ্বাদশীতে সব শেষ! প্রয়াত মোহনবাগান অন্ত প্রাণ অনির্বাণ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল