ফলে এই ম্যাচ জিতে শেষ চারের পথে পা বাড়িয়ে রাখাই লক্ষ্য দুই দলের। তবে সাম্প্রতিক ফর্মের নিরিখে কিছুটা হলেও এগিয়ে বোমাস-দিমিত্রিরা। উল্লেখ্য, আইএসএলের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে জেএফসি’র বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল হুয়ান ফেরান্দোর দল। ফিরতি লেগে অবশ্য কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। তবে শুক্রবার বড় ব্যবধানে জয়ই পাখির চোখ এটিকে মোহনবাগানের। প্রথম ম্যাচে বিকাল পাঁচটায় খেলতে হয়েছিল বোমাসদের।
advertisement
তবে শুক্রবার খেলা শুরু রাত সাড়ে আটটায়। তাই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে গত তিনদিন সন্ধ্যায় দল নিয়ে প্রস্তুতি সারেন কোচ ফেরান্দো। গোয়ার বিরুদ্ধে সেটপিস থেকে একাধিক আক্রমণ গড়েছিল জামশেদপুর।তাই গোকুলামের বিরুদ্ধে তাঁকে পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন ফেরান্দো। তবে শুক্রবার শুরু থেকেই মাঠে নামতে পারেন অজি তারকা স্ট্রাইকার।
আইএসলে গোলের জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে থাকত সবুজ-মেরুন জনতা। তবে গত ম্যাচে বোমাস, লিস্টন, মনবীর গোল পাওয়ায় দিমিত্রির চাপ অনেকটাই কমবে। গোকুলামের বিরুদ্ধে দল বড় ব্যবধানে জিতলেও কোনওরকম আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ ফেরান্দো। তিনি জানেন, একটা খারাপ ফল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিতে পারে। তাই ছেলেদের ফোকাস ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
সবুজ-মেরুন হেড কোচ জানান, ‘জামশেদপুরকে হাল্কা ভাবে নিলে চলবে না। গত ম্যাচের তুলনায় শুক্রবারের লড়াইটা কঠিন হবে। তবে ছেলেরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। গোয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও দল দুরন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ায় খুশি জামশেদপুর এফসি কোচ এইডি বুথরয়েড। তবে কেরলে গরম থাকলেও মোহনবাগান ফুটবলাররা সেসব পাত্তা দিতে রাজি নন। পাখির চোখ একটাই। জামশেদপুরকে হারিয়ে সুপার কাপের শেষ চার নিশ্চিত করা।