ইংল্যান্ডের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন বার করা হয়েছে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে নিয়ে। হুয়ান তার সাক্ষাৎকারে কলকাতা এবং বাঙালিদের ফুটবল প্রেমের সুখ্যাতি করতে কোনো দ্বিধা করেননি। হুয়ান এই ফুটবল আবেগ নিয়ে বলেছেন, এটা শুধু একটা খেলা নয়, কলকাতায় ফুটবল এক প্রকার পারিবারিক সংস্কৃতি, ক্লাবের রং এবং তার প্রতি অনুভূতি সবই তার অংশ… এটি বংশ পরম্পরায় বয়ে চলে এবং বছরের পর বছর ধরে বাবা মায়ের থেকে তাদের সন্তানদের কাছে ফুটবলের প্রতি এই ভালোবাসা বিস্তার পায়।
advertisement
কেউ এটি ছাড়া জীবন ভাবতেই পারেন না এবং তা বোঝার জন্য একজনকে সেটা অনুভব করতেই হবে। কলকাতার ফুটবল ইতিহাস যে কতটা প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ তা ইংল্যান্ডের মানুষদের কাছে তুলে করেছেন প্রতিবেদক। ১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া মোহনবাগান, ২০২৩ এও আইএসএল জিতছে। এএফসি কাপে জায়গা পাচ্ছে বাংলার ক্লাব।
২০০৩ সালে মহাদেশীয় স্তরে আশিয়ান কাপ জিতেও নিয়ে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। হুয়ানের থেকে শুনে পত্রিকার প্রতিবেদক কলকাতার ফুটবল নিয়ে আরো গবেষণা করেছেন। তিনি যতটুকু অনুভব করেছে, তার থেকে পত্রিকায় লিখেছেন - ৪২ বছর বয়সী ফেরান্দো বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ফুটবল শহরে দেশের সেরা লিগের ট্রফি এনে দিয়েছেন।
কলকাতার কিছু ক্লাব আছে যারা বিংশ শতাব্দীরও প্রাচীন, এবং সেখানকার ডার্বি এক লক্ষ মানুষও দেখতে আসে। এখানে ভারতীয় ফুটবলের আত্মা বর্তমান। ১৯১১ সালে সাহেবদের ক্লাব ইস্ট ইয়র্ক শায়ারকে হারিয়ে শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। পেলের আমেরিকান ক্লাব কসমসের বিরুদ্ধে খেলেছিল। ইস্টবেঙ্গল যেমন ইরানের বিখ্যাত পাজ ক্লাবকে হারিয়েছিল। সুইডেনের নামি ক্লাবকে হারিয়েছিল। তাই কলকাতার ফুটবল ইতিহাস কতটা সমৃদ্ধ লেখা হয়েছে ইংল্যান্ডের পত্রিকায়।