সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়াসিম জাফর, হর্ষ ভোগলে, মহম্মদ কাইফরা ঢালাও প্রশংসা করেছেন শামির। সুনীল গাভাসকার, আশিস নেহেরা, অজিত আগারকারদের মত ক্রিকেটাররাও শামি বন্দনায় মুখরিত। সেঞ্চুরিয়নের মাঠে আগুন ঝরালেন মহম্মদ শামি। দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন তিনি একাই। সেই সঙ্গে দুশো টেস্ট উইকেটের মালিকও হয়ে গেলেন বাংলার পেসার।
advertisement
আরও পড়ুন - East Bengal Renedy Singh : নতুন বিদেশি কোচ নয়, রেনেডিকেই আপাতত দায়িত্ব দিল ইস্টবেঙ্গল
৫৫তম টেস্টেই এই মাইলফলক ছুঁলেন শামি। ভারতীয় পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে এই মাইলফলক ছোঁয়ার তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন তিনি। কপিল দেব নিয়েছিলেন ৫০টি টেস্টে, জাভাগল শ্রীনাথ নিয়েছিলেন ৫৪টি টেস্টে। তাঁদের পরেই রয়েছেন শামি। ১১তম ভারতীয় বোলার হিসাবে ২০০ উইকেট নিলেন তিনি। শামি পঞ্চম ভারতীয় পেসার যিনি টেস্টে দুশো উইকেট নিয়েছেন।
কপিল, শ্রীনাথ ছাড়া ভারতীয় পেসারদের মধ্যে দুশো উইকেট রয়েছে জাহির খান এবং ইশান্ত শর্মার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন তিনি। এডেন মার্করাম, কিগান পিটারসনদের বোল্ড করেন শামি। দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার মিডল অর্ডারের পক্ষে শামিকে সামলানো মুশকিল হচ্ছিল। টেম্বা বাভুমা, উইয়ান জানসেন, কাগিসো রাবাডারা শামির বলে ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
শামির উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে ধস নামিয়ে দেয়। মাত্র ১৯৭ রানে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। তৃতীয় দিনের শেষে ভারত ১৪৬ রানে এগিয়ে। চতুর্থ দিনে ভারতের টার্গেট হবে তাড়াতাড়ি রান তুলে মোটামুটি ৩০০ করতে পারলেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছেড়ে দেওয়া। কারণ পঞ্চম দিনে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস।
তাই ভারতকে ম্যাচ জিততে হলে আবার ১০ উইকেট নিতে হবে। ভারতীয় বোলারদের সেই ক্ষমতা আছে আজ দেখিয়ে দিয়েছেন শামি, সিরাজ, বুমরাহ, শার্দুল ঠাকুররা। নির্ভর করছে ব্যাটসম্যানদের ওপর কত তাড়াতাড়ি চতুর্থ দিন তারা ভদ্রস্থ টার্গেট বোর্ডে সেট করতে পারে।