দিল্লির প্রাক্তন ক্রিকেটার মিঠুন ১৫৭টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে প্রায় ৯৭১৪ রান করেছেন এবং দিল্লি ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দিয়ে ২০০৭-০৮ রনজি ট্রফি জিতিয়েছেন। মিঠুন আইপিএল-এ দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস, পুণে ওয়ারিয়র্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের জন্য খেলেছেন। জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়া তার জন্য গর্বের বিষয়।
advertisement
বিসিসিআইয়ের নতুন অফিসিয়ালসদের তালিকায় রাজীব শুক্লা উপ-সভাপতি হিসেবে থাকবেন, দেবজিত সাইকিয়া সচিব এবং রঘুরাম ভট্ট কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রভতেজ ভাটিয়া যুগ্ম সচিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আইপিএল চেয়ারম্যান পদে অরুণ ধুমল ও অমোল মজুমদার থাকবেন। ম্যানস সিলেকশন কমিটিতে অজিত আগরকর চেয়ারপার্সন, আর পি সিংহ ও প্রজ্ঞান ওঝা নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন।
মহিলা ও জুনিয়র ক্রিকেট কমিটি এবং ডব্লিউপিএল ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার কমিটির সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। মহিলাদের সিলেকশন কমিটির সভাপতি হলেন অমিতা শর্মা এবং জুনিয়র ক্রিকেট কমিটির সভাপতি এস শারথ। ডব্লিউপিএল কমিটিতে মিঠুন মানহাস, রাজীব শুক্লা ও অন্যান্য সদস্যরা রয়েছেন। রোহন জেটলি ইনফ্রাস্ট্রাকচার কমিটির সভাপতি।
বোর্ডের দায়িত্বে এসে মিঠুন মানহাস শুধু প্রশাসক হিসেবেই নয়, বরং একজন ক্রিকেটার হিসেবে মাঠের অভিজ্ঞতা ও বাস্তব সমস্যাগুলো বোঝার ক্ষমতা নিয়ে কাজ শুরু করবেন—এমনটাই প্রত্যাশা করছে গোটা ক্রিকেট মহল। মিঠুন মানহাসের নেতৃত্বে বিসিসিআই নতুন দিশা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁর দীর্ঘদিনের ক্রিকেট অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্বগুণ ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।