নিজের ব্যক্তিগত এবং গেমসে রেকর্ড করার পর মীরাবাই চানুকে (Chanu Saikhom Mirabai) পরবর্তী লক্ষ্য জিজ্ঞেস করা হলে চানু জানান, ‘‘বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে পদক জয় আমার টার্গেট। সেই মঞ্চে পদক জিতে দেশকে আরও একবার গর্বিত করতে চাই। কমনওয়েলথ গেমসে সোনার ফলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে আরও প্রত্যয়ী হয়ে নামতে পারব। ক্লিন এন্ড জার্কে বিশ্ব রেকর্ড করার চেষ্টা করব।’’
advertisement
কমনওয়েলথ গেমসে পদক জয়ের হ্যাটট্রিক। ২০১৪ সালের গ্লাসগোতে রুপো জয়। তারপর ১৮ গোলকোস্টে ৪৮ কেজি বিভাগে নেমে সোনা। এবার ৪৯ কেজি বিভাগে নেমে সোনা জিতলেন চানু। এদিনের সাফল্যের পর চানু জানান, ‘‘আমি খুব খুশি। আমি সব সময় চেষ্টা করি সব ধরনের প্রতিযোগিতায় পদক জেতার। আমার দেশকে এবং ওয়েট লিফটিংকে আগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। ভালো লাগছে রেকর্ড গড়তে পেরেছি। অলিম্পিকের পর আমার কেরিয়ারে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা কমনওয়েলথ গেমস। আগের বারও সোনা জিতেছিলাম। আমি ভেবে এসেছিলাম নিজের সঙ্গে লড়াই করব। কোথাও কোন ভুল ভ্রান্তি হচ্ছে কিনা সেটা দেখে নেওয়া মঞ্চ ছিল এটা। সেটাই করেছি। স্ন্যাচে ৯০ কেজি তুলতে চেষ্টা করেছিলাম। না পারলেও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’’
আরও পড়ুন- মাথায় দারুন সব আইডিয়া খেলে যায়? ইংরেজির এই অক্ষর দিয়ে নাম শুরু নয় তো?
অলিম্পিকে রুপো মীরাবাই চানুর কাছে অনেকটাই সহজ মঞ্চ ছিল কমনওয়েলথ গেমস। তবে নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রতি মুহূর্তে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মনিপুরের এই মেয়ে। মায়ের দেওয়া বিশেষ কানের দুল আর ভারতের জাতীয় পতাকা রঙের হেয়ার ব্যান্ড পড়ে খেলতে নেমেছিলেন চানু। নিজের ট্র্যাক স্যুটের রঙে পছন্দ করে নেলপালিশও পড়েছিলেন তিনি। বিদেশের মাঠে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত চানু। করোনার জন্য অলিম্পিকে সমর্থক ছিল না। কমনওয়েলথ গেমসে সমর্থক রয়েছে। সমর্থকদের উচ্ছ্বাস বাড়তি পাওনা মনে করেন মীরাবাই। এই সাফল্য চানু কোচ ও পরিবারকে সোনা উৎসর্গ করতে চান। প্রতিযোগিতায় বাকি ভারতীয় খেলোয়াড়দের জন্য চানু জানান, ‘‘সকলকে বলব, সোনা না হোক, যে কোনও পদক জেতো।’’