২০১৮ সালে ক্রিকেট সম্প্রচারের স্বত্ব পাওয়ার পর থেকেই চ্যানেল সেভেন ধারাভাষ্য দলে ছিলেন স্লাটার। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ৫১ বছর বয়সী প্রাক্তন ব্যাটসম্যানকে চ্যানেল সেভেন এ বছরের নতুন চুক্তিতে রাখেনি। ডেইলি টেলিগ্রাফ এই সংবাদ প্রথমে প্রকাশ করে জানিয়েছিল, বাজেট সমস্যার কারণে স্লাটারকে নতুন চুক্তিতে রাখা হয়নি। ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে সিদ্ধান্তটা ব্যবসায়িক দিক ভেবেই নিতে হয়েছে। আমরা তা নবায়ন (স্লাটারের চুক্তি) করার মতো পরিস্থিতিতে নেই,’ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন চ্যানেল সেভেনের ক্রীড়াপ্রধান লুইস মার্টিন।
advertisement
আরও পড়ুন - Spain Nations League final : দুর্ধর্ষ ইতালিকে হারিয়ে প্রতিশোধ এনরিকের স্পেনের
তবে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, স্লাটারের বাদ পড়ার কারণটা শুধুই ব্যবসায়িক নয়; গত মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন স্লাটার। তাঁর নতুন চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পেছনে সেসব টুইটকেও কারণ হিসেবে দেখছে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম। সে সময় করোনায় বিপর্যস্ত ছিল ভারত। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ানদের দেশে ফেরা নিষিদ্ধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
আইপিএলে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা স্লাটার এর সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ানদের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের ভাবনাচিন্তা থাকলে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হতো। এটা লজ্জার। প্রধানমন্ত্রী আপনার হাতে রক্ত। আমাদের সঙ্গে এমন আচরণের সাহস কোথায় পেলেন।’ স্লাটার আরও লিখেছিলেন, ‘যাঁরা ভাবছেন বিষয়টি শুধুই টাকার, তাঁরা ব্যাপারটি ভুলে যান। জীবিকার জন্য আমি এটাই করি এবং আগেভাগে চলে আসায় কোনো আয় করতে পারিনি। তাই দয়া করে এসব হয়রানি বন্ধ করে ভারতে প্রতিদিন মারা যাওয়া হাজারো মানুষের কথা ভাবুন। এটাকে বলে সমবেদনা—তা যদি আমাদের সরকারের কিছুটা হলেও থাকত!’
চ্যানেল সেভেনের কর্মকর্তারা স্লাটারের এসব টুইটকে তখন ভাল চোখে দেখেননি। তাঁর ‘প্রধানমন্ত্রীর হাতে রক্ত’—এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়েছিলেন মরিসন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৪ টেস্ট ও ৪২ ওয়ানডে খেলা স্লাটার চ্যানেল সেভেনের সঙ্গে কাজ করার আগে চ্যানেল নাইনে রিচি বেনো ও বিল লরিদের ধারাভাষ্য দলে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার কোয়ারেন্টাইন নিয়ম প্রচন্ড কড়া। যা নিয়ে সম্প্রতি অভিযোগ করেছিল ইংলিশ ক্রিকেটাররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল অ্যাশেজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে।