সেদিন মাঠে ঘটে যাওয়া একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মেহতাব। তিনি বলেন,”যেখানে নামানো হয়েছিল, সেখানে নামানো উচিত হয়নি। গাড়িতে সানরুফ ছিল, একটা বা দুটো ল্যাপ করিয়ে দিলে এই ঘটনা ঘটত না। তারপর যে ঘটনা ঘটেছে সেটা খুব লজ্জাজনক। এত লোক দেখতে এসেছিল, তাদের চোখের জল পড়েছে, এটা কাম্য না।”
ঘটনার জন্য আসল দোষী কারা এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মেহতাব হোসেন বলেন,”কাকে কাকে দোষারোপ করবেন? দোষ আমাদের নিজেদেরে। নিজেদের আমরা ঠিক না করতে পারি, প্রলোভন যদি না ছাড়তে পারি, তাহলে এই ঘটনা বারবার ঘটবে। মেসি এসেছে পাবলিক ওকে দেখবে, ও পাবলিককে দেখবে। ওখানে যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেটা ঠিক হয়নি।”
advertisement
যবভারতীর অরাজক ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন শিল্টন পালও। তিনি বলেছেন,”পশ্চিমবঙ্গে জিনিসটা হয়ে গেছে যার কাছে টাকা আছে, যার কাছে পাওয়ার আছে, তাকেই আমরা সুযোগ দিচ্ছি। আমাদের কথা ছেড়ে দাও, মেসি পাবলিকদের জন্য এসেছিলেন। যারা টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসেছিলেন, তারা এক ঝলক মানুষটাকে দেখবে বলে এসেছিলেন, ফলে তারা রাগ থেকে পরের কান্ড ঘটিয়েছে।”
ঘটনায় উভয়পক্ষ দোষী এবং অন্যান্য় শহরে সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠান হতে দেখে আফশোস হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শিল্টন পাল। তিনি বলেছেন, “আমাদের ম্যাচ সঠিক সময়ে শুরু হয়নি। প্ল্য়ানিং অনেক থাকলেও তা সঠিকভাবে কার্যকর করা যায়নি বলে আমার মনে হয়। মেসির জন্য আরও অনেক বেশি প্রটোকল মানা উচিত ছিল। তার চারপাশে এত মানুষ ছিল যে, আমরা মাঠে থেকে মেসিকে দেখায় সমস্যা ছিল। আর দর্শক তো শুধু মানুষের ঢল দেখতে পেয়েছে। এত মানুষ মাঠে ছিল, সেখান থেকে দর্শকদের ক্ষোভ স্বাভাবিক। যেভাবে হায়দরাবাদ বা মুম্বইতে হয়েছে, তা কলকাতাতেও হতে পারত। দায় সবাইকে নিতে হবে। ফ্যানেদের এই চোখের জল কোনওভাবে শোধ করা যাবে না।”
