বরং গত ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও দল যেভাবে কামব্যাক করেছিল, সেই ছন্দ ধরে রাখাই লক্ষ্য মারিও’র। রবিবার লাল-হলুদ কোচ জানান, চেন্নাই ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে দল যে ফুটবলটা মেলে ধরেছে, তা এখনও পর্যন্ত সেরা। কলকাতা ডার্বির দ্বিতীয় লেগের প্রথমার্ধেও আমরা কিছুটা একইরকম ছন্দে শুরু করেছিলাম। আগামী ম্যাচে এই ধারাটা বজায় রাখতে হবে।
advertisement
১৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। হাতে বাকি আর পাঁচটি ম্যাচ। তবে প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ায় বাকি ম্যাচগুলিতে ফুটবলাররা কতটা মোটিভেট হতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও লাল-হলুদ কোচ জানাচ্ছেন, পেশাদার ফুটবলের প্রতিটি ম্যাচেই নতুন লড়াই। তাঁর মন্তব্য, ফুটবলাররা প্রত্যেকেই পেশাদার। তারা নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে অবগত। প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য ক্ষুধার্ত ওরা। ফলে মোটিভেশনের অভাব হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
আপাতত পরের ম্যাচে তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়াই লক্ষ্য। শেষ চারে পৌঁছনোর সুযোগ রয়েছে ওড়িশার সামনে। ফলে সোমবার তারাও যে তিন পয়েন্ট তুলে নিতে মরিয়া হবে, তা ভালোভাবেই জানেন লাল-হলুদ স্প্যানিশ কোচ। এই প্রসঙ্গে মারিও জানান, ওড়িশা এফসি’র প্রতিটি বিভাগেই ভালোমানের ফুটবলার রয়েছে। খুবই ভারসাম্যযুক্ত একটি দল।
তাই ওদের বিরুদ্ধে লড়াইটা মোটেই সহজ হবে না। তবে আমাদের ছেলেরাও তৈরি। ইস্টবেঙ্গলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ওড়িশা কোচ গার্সিয়া। তিনি জানান, গত কয়েকটি ম্যাচে ওরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। লড়াইটা সহজ হবে না। লাল হলদের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মার্সেলো এবং স্প্যানিশ ফুটবলার ফ্রান্সিস্কো আজ নিজেদের মেলে ধরতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।