ভারতীয় ক্রিকেটের আমূল বদল হবে। খোলনলচে বদলে রন্ধ্রে থাকা দু্র্নীতিকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলা হবে। গত অক্টোবরে ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে বসে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজা শশাঙ্ক। স্বচ্ছতার পক্ষে সওয়াল করার পর ৫৯ বছরের এই মরাঠি আইনজীবীর দাবি ছিল, প্রতিটি দেশবাসীর কাছে কৈফিয়েত দিতে বাধ্য হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আসলে, দুর্নীতির পাঁকে ডুবে থাকা ভারতীয় ক্রিকেটের ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে এই দাওয়াই গুলিকে কার্যকর করতে চেয়েছিলেন মনোহর। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লোধা কমিটির নিয়োগের কোনও বিরোধিতা করা হয়নি। কিন্তু লোধার সুপারিশ কার্যকর নিয়ে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেট। সুপ্রিম কোর্টের চোখা চোখা প্রশ্নের সামনে বাক্য হারান বোর্ডের আইনজীবীরা। অর্থ উপার্জন থেকে এক বোর্ড এক রাজ্য। আদালতের এই প্রশ্নের কোনও উত্তরই দিতে পারেনি বিসিসিআই। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ঘনিষ্ঠ মহলে এই ব্যাপারে বেশ বিরক্তিই প্রকাশ করেন শশাঙ্ক মনোহর। বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদ থেকে শশাঙ্ক মনোহরের সরে যাওয়া ব্যাপারে এই দাবি মানতে নারাজ সচিব অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর পাল্টা যুক্তি, আইসিসি’র নতুন নিয়মের জেরেই বোর্ডের পদ ছাড়লেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। যে নিয়মে এক ব্যক্তি দুটি পদে থাকতে পারবেন না। আগামী জুনে পেরেন্ট বডির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। যেখানে শশাঙ্ক মনোহরের ফিরে আসা নিশ্চিত। সেই কথা মাথায় রেখেই কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শরদ পওয়ারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চাইলেন শশাঙ্ক। সূত্রের দাবি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে কোমর বেঁধে নামবে বিসিসিআই। লোধার সুপারিশকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে পিটিশন দাখিল করা হবে। ইঙ্গিত থেকেই স্পষ্ট আইসিসি’র নতুন নিয়ম স্রেফ একটা বাহানা। আসলে রাজা শশাঙ্কের ভারতীয় বোর্ড ছাড়ার পিছনের আসল কারণ কর্তাদের সেই আদি অকৃত্রিম মানসিকতাই। যেখানে স্বচ্ছতা শুধুমাত্র সোনার পাথরবাটি।
advertisement