পরের বছর কি ইস্টবেঙ্গলে থাকছেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন? এই প্রশ্নের উত্তর লাল হলুদ কোচ বলেন, আমার সঙ্গে দলের মে পর্যন্ত চুক্তি। পরের বছরের চুক্তি নিয়ে কথা হলেও কিছু ফাইনাল হয়নি। তাই যতক্ষণ না কিছু ফাইনাল হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি পরের বছরের দলও গোছাতে পারছি না।
আরও পড়ুন - আইপিএল আর বিপিএল সমান নয়! তবুও বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির রাস্তা বলে দিলেন সৌরভ
advertisement
এদিকে ফের সমর্থকরা প্রশ্ন করেছেন যে প্রতি বছরই তো দলগঠনে দেরি হচ্ছে। প্রভাব পড়ে পারফরম্যান্সে। এবারও সুযোগ থাকতেও যদি এ ভাবে দেরি করে ম্যানেজমেন্ট, সেই ব্যর্থতার দায় কে নেবে? কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন ম্যাচের পর অবশ্য অজুহাত বজায় রাখলেন। খারাপ রেফারিংয়ের কথা শোনা গেল তাঁর মুখে।
বললেন, ক্লেটনকে যে ভাবে ফাউল করা হয়েছিল, ওটা ফাউল দেওয়া উচিত ছিল। আমরা একটা পেনাল্টিও পেতে পারতাম।গত কয়েক সপ্তাহে কেরালা ব্লাস্টার্স, মুম্বই সিটি এফসি-কে হারানোর পরে সমর্থকেরা লাল হলুদের ফুটবলার ও কোচকে নিয়ে যতটা আশা করেছিল, শনিবারের ডার্বিতে সেই প্রত্যাশা কোনও ভাবেই পূরণ করতে পারেননি স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের ছেলেরা।
দুটো দলের কোয়ালিটিতে ছিল প্রচুর পার্থক্য। সেটা মাঠে উপস্থিত দর্শকরা এবং যারা টিভিতে চোখ রেখেছিলেন তারা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছেন। বল দখলে রাখা থেকে শুরু করে পাস খেলার সংখ্যায় অনেক এগিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। একমাত্র ক্লেটন সিলভা, কিরিয়াকু এবং কিছুটা
মোবাশির ছাড়া কাউকে সেভাবে চোখে পড়েনি লাল হলুদ দলের।
ব্রিটিশ স্ট্রাইকার জ্যাক জার্ভিস প্রায় দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। স্টিফেন অবশ্যই জানিয়েছেন তিনি যদি কোচ থাকেন এবং ক্লাব যদি তার ওপর বিশ্বাস রাখে তাহলে পরেরবার বেশ কিছু ভাল বিদেশি এবং ভারতীয় ফুটবলার তিনি আনবেন। তবে সেক্ষেত্রে দলের বাজেট বাড়াতেই হবে। না হলে এটিকে মোহনবাগান, মুম্বই, হায়দারাবাদের মত দলের বিরুদ্ধে ভাল ফলের আশা না করাই উচিত। এটা সাধারণ ব্যাপার। এটা বোঝার জন্য ফুটবল পন্ডিত হওয়ার দরকার নেই।