ডেভিড বনাম গোলিয়াথ। শতবর্ষের কোপার প্রথম সেমিফাইনালকে এই ভাবেই ব্যাখা করা হচ্ছে। কারণ, মেসির বর্তমান ফর্মের কাছে ক্লিন্সম্যানের আমেরিকাকে নিঃসন্দেহে ক্ষুদ্রই মনে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, পানামা এবং ভেনেজুয়েলা ম্যাচের ঝলক যদি এই ম্যাচেও অব্যাহত থাকে তাহলে মার্কিনদের অবস্থা করুণই হবে।
মারাদোনার সমালোচনা, বিশ্বকাপ না জেতার যন্ত্রণা- এই সবকিছু মাথায় নিয়েই এবার কোপা খেলছেন মেসি। চোটের কারণে প্রথমে কয়েকটি ম্যাচে কুঁকড়ে ছিলেন। কিন্তু খোলস মেলতেই শুধু ম্যাজিক। মাঠে নামার আগেই আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্দো মার্টিনোও দাবি করেছেন এই ম্যাচ লিও মেসির। কার্ড দেখে আমেরিকার বিরুদ্ধে নেই গাইতাং। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না নীল-সাদা শিবিরের।
advertisement
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আর্জেন্টিনা এই দু’দেশ মুখোমুখি হয়েছে মোট আটবার। এরমধ্যে ছ’বার জিতেছে আর্জেন্টিনা। দু’টি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে রুখে দিয়েছিল আমেরিকা। এরমধ্যে সম্প্রতি ২০১১ সালে আমেরিকার কাছে আটকে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা।
এই ম্যাচে যেমন মেসি, তেমনই অন্যদিকে রয়েছেন মার্কিনদের তারকা কোচ য়ুরগেন ক্লিন্সম্যান। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ। মারাদোনার আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানি। খেলোয়াড় ক্লিন্সম্যান আজ কোচ। প্রতিপক্ষ সেই আর্জেন্টিনা। মারাদোনার বদলে আজ মেসি। ক্লিন্সম্যানের সেই স্মৃতি একবার উসকে দিতে চাইছেন মার্কিনরা। তিন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার খেলবেন না। তাতেও মেসিকে রুখতে জমি ছাড়বে না আমেরিকা। এটাই এখন পণ করেছেন ক্লিন্সম্যান।
