পতিরাম বিএসএফ ক্যাম্পের পাশেই পতিরাম হাই স্কুলের মাঠে প্রতিদিন নিজে নিজেই এক সময় ফুটবল অনুশীলন করেছে মোহন। এরপর জীবনটাই বদলে গেছে ছোট্ট মোহনের। সে গোলকিপার হতে চায়। সেই লক্ষ্যেই চলছে তার সাধনা। ইতিমধ্যেই কলকাতায় খেলে এসেছে। জুনিয়রদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ গোলকিপারের প্রাইজ নিয়ে এসেছে।
স্থানীয় শিক্ষক ও ফুটবল কোচ সঞ্জয় সরকার মোহনকে প্রথম থেকেই কোচিং করেছে। সঠিকভাবে পরিচালনা করেছেন আরও একজন কোচ মৃত্যুঞ্জয় বসাক। ২০২০ সালে পতিরামে সঞ্জয়বাবু প্রচেষ্টায় একটি ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে। সেই অ্যাকাডেমিতে এখন প্রায় দেড়শো জন বাচ্চা নিয়মিত ফুটবল এর প্রশিক্ষণ নেয়। সাংসদের উদ্যোগে ফুটবল ট্যালেন্ট হান্ট ক্যাম্পে আরও তিনজন বাচ্চা সফল হয়েছে তাদেরও পাসপোর্ট বানানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।
advertisement
চলতি বছরেই সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে ফুটবল ট্যালেন্ট হান্ট ক্যাম্পে মোহনের প্রতিভা চোখে পড়ে যায় মুম্বই থেকে আসা ফুটবল একাডেমির কর্তাদের। ছোট্ট মোহনের বাড়িতে ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে দ্রুত পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। মোহনকে নিয়ে যাওয়া হবে ব্রাজিলের একটি ক্লাবে। যেখানে প্রশিক্ষিত হবে সে।
মোহনের এই সাফল্যে পতিরামের সমস্ত মানুষ। শুধুমাত্র ব্রাজিল নয় এই ক্যাম্প থেকে আরো দুজন খুদে খেলোয়াড় শ্রীলঙ্কায় প্রশিক্ষণের জন্য সুযোগ পেয়েছে। তিন দিক সীমান্ত বেষ্টিত দিনাজপুর জেলাতে ফুটবলের পরিকাঠামো নেই বললেই চলে। তারপরেও যেভাবে এই অ্যাকাডেমি থেকে ছাত্ররা সফল হয়েছে তাতে আশাবাদী কোচ থেকে শুরু করে অভিভাবকরা।
সুস্মিতা গোস্বামী