পেলের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলকে দারুণ জনপ্রিয় করে তোলে। একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল খেলা কেউই দেখতেন না। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাটা পছন্দই করতেন না আমেরিকানরা। পেলে কসমসে সই করার পর বিষয়টি আমূল পাল্টে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ফুটবল খেলার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছিল।
১৯৫০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল গোটা দুনিয়াকে। তবে পেলের কসমসে আগমনকে মার্কিন ফুটবলের পুনরুজ্জীবন বলা হয়ে থাকে। শুধু পেলেই নয়, তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল লিগে নাম লিখিয়েছেন অনেক বিখ্যাত ফুটবলারই। সেখানে খেলতে গেছেন বিখ্যাত জার্মান কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, গার্ড মুলার। নেদারল্যান্ডস কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফও খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
advertisement
খেলেছেন ব্রিটিশ তারকা ববি মুর, জর্জ বেস্টও। সাম্প্রতিক অতীতের অনেক বড় বড় তারকা ফুটবলারই খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এঁদের মধ্যে আছেন ডেভিড বেকহাম, থিয়েরি অঁরি, গ্যারেথ বেল, ডেভিড ভিয়া, দিদিয়ের দ্রগবা, ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, ওয়েইন রুনি, কাকা প্রমুখ।
বিখ্যাত ব্রিটিশ তারকা জর্জ বেস্ট ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে যান, তিনি খেলেছিলেন সান জোসে আর্থকোয়েকসের পক্ষে। এদিকে আমেরিকান ফুটবল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মেসি আসার পর মেজর লিগ সকারের টিআরপি এক লাফে বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। এডিডাস এবং অ্যাপেল আগেই এসেছিল।
এবার স্পন্সর হিসেবে আসছে আরো বড় বড় সংস্থা। তাছাড়া পরের বিশ্বকাপ আমেরিকায়। তাই মেসি সে দেশে খেললে ২০২৬ বিশ্বকাপের মজা আলাদা হবে। আমেরিকান লিগ সম্প্রচারের ক্ষেত্রে হয়তো বিশ্বের আরও বেশি দেখা যাবে। সব মিলিয়ে মেসি যেখানে, ফুটবল বাণিজ্য সেখানে।