এমন খবর অবশ্য ফ্রান্স নয়, স্পেন থেকেই আসছে। কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মেসির স্ত্রী আন্তনেল্লা(Antonela Roccuzzo) । নেইমার নাকি দায়িত্ববান টিম ম্যান নন। ফুটবল ছাড়া পার্টি, মহিলা আসক্তির (Neymar night life) দিকেই মনোযোগ তার। সেটার জন্যই নাকি মেসির সঙ্গে তার জুটি জমে উঠছে না। এ জন্যই ক্লাব ছাড়তে পারেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi may leave PSG)। এমনটাই বন্ধুমহলে বলেছেন আন্তনেল্লা। বার্সেলোনাভিত্তিক সাংবাদিক শাভি তোরেস জানাচ্ছেন, মেসি আর নেইমারের সম্পর্ক আর আগের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ নয়।
advertisement
খবরটা এমন সময়ে আসছে, যখন গত পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির ( Manchester City vs PSG) মাঠে হারের পর পিএসজির ফুটবল নিয়ে সমালোচনার কমতি নেই। আর পচেত্তিনোর(Mauricio Pochettino) পিএসজির এই ছন্নছাড়া ফুটবলের বলি হচ্ছে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের সমন্বয়। তিনজন মিলে এখন পর্যন্ত গোলই করেছেন মাত্র ১৫টি। তিনজনই কখনো না কখনো চোটে ছিলেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে-পরের ঝামেলা থাকায় তিনজনের একসঙ্গে খেলা হয়েছেই খুব কম সময়, তবে এর মধ্যে মেসি আর এমবাপ্পের সমন্বয়ই যা একটু চোখে পড়েছে।
তিনজনের মধ্যে নেইমারকেই যেন একটু খাপছাড়া লাগছে। এর মধ্যে স্প্যানিশ টিভি ‘উনজ টিভি থ্রি’তে সাংবাদিক শাভি তোরেসের খবরটা পিএসজি সমর্থকদের উদ্বেগ আরও বাড়াবে। বার্সেলোনার খবরাখবর বের করে আনায় খ্যাতি আছে এই সাংবাদিকের। তা কী বলেছেন তোরেস? ওরা আগের মতো আর ভাল বন্ধু নয়। ওদের মধ্যে রসায়নটা আর আগের মতো নয়। এখানে অবশ্য মেসির পরিবারের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তোরেস, ওর (মেসির) পরিবারও স্বস্তি বোধ করছে না। আন্তোনেল্লাকে বার্সেলোনাতেই বেশি দেখা যায়।
এখানে অবশ্য একটা ‘কিন্তু’ থেকে যায়। মেসি পিএসজিতে যাওয়ার পর বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এত বছরে বার্সেলোনায় তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল যে এখন হঠাৎ এই বদলে মানিয়ে নিতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লার বার্সেলোনাতে ব্যবসাও আছে, সেটিও তাঁর বারবার বার্সেলোনায় যাওয়ার কারণ হতে পারে।
কিন্তু নেইমার তার ব্যক্তিগত জীবনে কি করবেন, সেটা বলার অধিকার মেসির স্ত্রীকে কে দিয়েছে? প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আসলে এসব বলে মেসিকে প্যারিস ছেড়ে বার্সেলোনাতে ফেরানোর মতলব কষছেন তার স্ত্রী? সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পাশাপাশি এটাও ঠিক নেইমারের নৈশ জীবন, নিত্যনতুন মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া বেড়েই চলেছে।