সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে রিজার্ভ বেঞ্চে জায়গা পেয়েছিলেন, আইপিএল মেগা অকশনে তার দাম উঠেছিল ৩.২ কোটি টাকা। ইয়াশ দায়ালের বাবা প্রাক্তন ফাস্ট বোলার চন্দ্রপল, যিনি ৮০ এর দশকে ভিজি ট্রফি খেলেছিলেন। অল্প বয়স থেকেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তিনি। এমআরএফ একাডেমিতে তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার গ্লেন ম্যাকগ্রা, প্রবীণ কুমার, ভুবনেশ্বর কুমার।
advertisement
উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের শিবিরে তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ। এমারেফ পেস একাডেমীতে গ্লেন ম্যাকগ্রা তাকে তার বোলিং লেংথ বজায় রাখা শিখিয়েছিলেন। রান আপ যাতে মসৃণ হয় সেটাও শিখেছিলেন ম্যাকগ্রার কাছ থেকে। সেখানে ম্যাকগ্রার প্রশিক্ষণে বা হাত ঘোরানোর গতি বাড়িয়েছিলেন, যেটা তার বলের গতিও বাড়িয়ে দিয়েছিল। হাত বা কবজি না বাঁকিয়ে তিনি এটা করতে পেরেছিলেন।
তিনি বললেন সবসময় বলের সুইংয়ের ওপর নজর দিতেন, কিন্তু তারপর বুঝলেন গতি বাড়ালে একজন বোলার হিসেবে আরো দক্ষ হতে পারবেন। এত গতির বলে সুইং করাতে পারলে, বাকি সব বোলারদের থেকে আলাদা হবেন ইয়াশ। উত্তর প্রদেশ থেকে এর আগেও অনেক বড় বড় সুইং বোলার এসেছেন, কিন্তু তারা প্রত্যেকেই মধ্যগতির বোলার।
অনেকটা জাহির খান এর মতই ইয়াস দায়াল, সুইং এর সাথে গতিও বজায় রাখতে সক্ষম। বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচে তিনি জানতে পারেন তার বলের গতি ১৪০ কিমি প্রতি ঘন্টায় থাকে, এরপর থেকে তিনি চেষ্টা করেন সমস্ত বল এই গতিতেই রাখার। কোনদিন ১৫০ কিমি প্রতি ঘন্টার গতিতে বল করতে সক্ষম হতে চান। এর জন্য বিশেষ স্ট্রেংথ ট্রেনিং করছেন তিনি। কাঁধ এবং কোমরের জোর বাড়ানোর পরামর্শ পেয়েছেন জাহির, নেহরাদের থেকে।