ভিতিদসার্ন সিনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রথম বিডাব্লুএফ টাইটেল জিতলেন। ফাইনালে অভিজ্ঞ ভিতিদসার্নের কাছে প্রথম থেকেই পিছিয়ে ছিলেন। দুটি গেমে একবারের জন্যও লিড নিতে পারেননি লক্ষ্য সেন। ভিতিদসার্নের কাছে ফুটওয়ার্কে পেরে উঠছিলেন না লক্ষ্য। থাইল্যান্ডের শাটলারের তুলনায় তার নরাচড়া অনেকটা মন্থর ছিল।
advertisement
লক্ষ্যের রিটার্ন স্ট্রাইক বারবার নয় জালে লাগছিল নয় পড়ে যাচ্ছিল। তার পায়ে ফোস্কা পড়ার কারণেও ফাইনালে প্রভাব পড়ে। ম্যাচের শুরুতেই ২-০ এগিয়ে যান ভিতিদসার্ন। এরপর ৪-৪ হয়। এরপর ৯-৫ এ এগিয়ে যান ভিতিদসার্ন। এরপর ব্যবধান বেড়ে ৮-১৩ হয়। লক্ষ্য মাঝেমধ্যেই জ্বলে উঠলেও কোনো সময়েই ভিতিদসার্নকে সমস্যায় ফেলতে পারেনি।
এরপর ১২-১৫, ১৮-১৯, ২০-১৮ ও শেষে ২১-১৮ পয়েন্টে প্রথম গেম জেতেন থাইল্যান্ডের শাটলার। দ্বিতীয় গেমের প্রথমেই ৩-০ লিড নিয়ে নেন লক্ষ্যের প্রতিপক্ষ। লক্ষ্যের লড়াইয়ের পরও ব্যবধান বেড়ে ৭-২ হয়। পায়ের ফোস্কার যন্ত্রনার কারণে নড়াচরায় ব্যাপক প্রভাব ফেললেও লড়াই করতে থাকেন লক্ষ্য। ব্যবধান বেড়ে ১১-৫ হয়। লক্ষ্য তা কমিয়ে ১১-৮ করেন।
এই সময় দু পক্ষই একে অপরকে একেবারেই জমি ছাড়ছিলেন না। তবুও ভিতিদসার্ন ১২-৯ তে এগিয়ে যান। ব্যবধান কমে ১৬-১৪ হয়। তবে লড়াই চালিয়ে গেলেও ব্যবধান আর কমাতে পারেননি লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় গেমে ২১-১৫ ব্যবধানে হার স্বীকার করতে হয় লক্ষ্যকে।
ভিতিদসার্নের দাপটের কাছে কার্যত মলীন দেখিয়েছে লক্ষ্যকে। ফাইনালে স্বপ্নপূরণ না হলেও জার্মান ওপেনে লক্ষ্য সেন অনেক লক্ষ্যই ভেদ করেছেন বলা চলে। বিশেষ করে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এক্সেলসেনকে হারানো তার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স হিসেবে থেকে যাবে। তবে জার্মান ওপেনের অভিজ্ঞতা ও পারফরমেন্স তাকে আগামী সপ্তাহে অল ইংল্যান্ড ওপেনে তার সাফল্যের হাতিয়ার হবে তা বলাই চলে।