কুলদীপ চায়নাম্যান নামে ক্রিকেট সার্কিটে পরিচিত। তবে এখন তিনি ভারতীয় দলে অনিয়মিত। খুব একটা সুযোগ পাচ্ছে না। তবে কীভাবে আবার জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করতে হয়, তা তিনি খুব ভাল করেই জানেন। তিনি এর আগেও এমন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন এবং এক পর্যায়ে তিনি এতটাই হতাশ হয়েছিলেন যে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই সেই সব কথা জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- হারের প্রতিশোধ অ্যাডিলেডে পিঙ্ক বল টেস্টেই নিতে মরিয়া রুটের ইংল্যান্ড
১৩ বছর বয়সে তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কারণ কঠোর পরিশ্রম করেও তিনি ইউপির অনুর্ধ্ব-১৫ দলে নির্বাচিত হতে পারেননি। যে কারণে তিনি খুব হতাশ হয়েছিলেন এবং তিনি খেলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে তাঁর ভাগ্য বদলে যায় এবং তার কঠোর পরিশ্রমও ফল দেয়।
২০১৪ সালের পর ভাগ্য পরিবর্তন হয়-
ঘরোয়া ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে দারুন পারফর্ম করেছেন। তার পর টিম ইন্ডিয়ার দরজাও খুলে যায় তাঁর জন্য। ২০১৪ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে
কুলদীপ হ্যাটট্রিক করেছিলেন। যা তাঁর কেরিয়ারের গ্রাফ তুলে দেয়। ভুবনেশ্বর কুমারের পর কুলদীপ যাদব দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি সব ফরম্যাটে একটি ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- কোহলি-রোহিতের ইগোর লড়াই! ঠাণ্ডা যুদ্ধের ঘোষণা বিরাটের, দিনের শেষে ক্ষতি কার?
১৮ ডিসেম্বর ২০১৯-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করা প্রথম ভারতীয় বোলার হয়েছিলেন। কুলদীপের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ২০১৭ সালে। তিনি সাতটি টেস্ট ম্যাচে ২৬ উইকেট, ৬৫ ওয়ানডেতে ১০৭ উইকেট এবং ২৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪১টি উইকেট নিয়েছেন। ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টিতে তিনি জুলাই থেকে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি, টেস্টে শেষ ম্যাচটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। কুলদীপ বুঝতে পারছেন, দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তবে হাল ছাড়তে নারাজ তিনি।